পরকীয়ায় ‘সিরিয়াস’ সম্পর্ক কম ক্ষেত্রেই হয়। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সম্পর্ক পারিবারিক জীবনে অশান্তি ডেকে আনে এবং সেটা বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ায়। পরকীয়ার সম্পর্ক কখনও পরিণতি পায় না। খুব কম ক্ষেত্রেই টেকসই হয় বিবাহ বহির্ভূত এই সম্পর্ক।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, শতকরা ৫০ ভাগের বেশি পরকীয়া সম্পর্কের স্থায়িত্ব এক মাস থেকে এক বছর। এক বছরের বেশি হলে তা সর্ব্বোচ্চ ১৫ মাস বা তার কিছু বেশি পর্যন্ত টেকসই হয়। শতকরা ৩০ ভাগ সম্পর্ক দুই বছর বা তার বেশি স্থায়ী হয়। পাঁচ ভাগের কম ক্ষেত্রে পরকীয়ার সম্পর্ক বিয়েতে গড়ায়। যদিও এই সংখ্যা বাড়ছে।
গবেষণা বলছে, ১০ পেশার মানুষ সবচেয়ে বেশি পরকীয়া করে। সেগুলোর মধ্যে সবার ওপরে আছে সামাজিক কাজ করেন এমন ব্যক্তিরা। তারপরে আছে শিল্প ও বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির মানুষেরা। তৃতীয় স্থানে আছে শিক্ষাক্ষেত্র। তারপর আছে আইন পেশার মানুষ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, চিকিৎসাক্ষেত্র, মার্কেটিং, সাংবাদিকতা, ফিন্যান্সের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিত্ব আর উচ্চবিত্ত ব্যবসায়ীরা। তবে পরকীয়ায় শীর্ষ ১০ এর তালিকায় নেই রাজনীতিবিদরা।
অন্যদিকে পরকীয়ায় শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় আছে- থাইল্যান্ড, ডেনমার্ক, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নরওয়ে, স্পেন, ফিনল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য। থাইল্যান্ডের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার বিবাহিত ব্যক্তিদের অর্ধেকই জানিয়েছে, তাদের পরকীয়ার সম্পর্ক আছে।
সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, পরকীয়ার সম্পর্ক কখনও পরিণতি পায় না। খুব কম ক্ষেত্রেই টেকসই হয় বিবাহ বহির্ভূত এই সম্পর্ক। এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা।
আরও পড়ুন: পরকীয়ায় চ্যাম্পিয়ন হলো যে দেশ
দীর্ঘ আট বছর ধরে পরকীয়া প্রেম নিয়ে গবেষণা করছেন মিসৌরি স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর অ্যালিসিয়া ওয়াকার। সম্প্রতি তার একটা পেপার প্রকাশিত হওয়ার পর সারাবিশ্বে সাড়া ফেলেছে। সেটি নিয়ে প্রতিবেদন করেছে ‘স্ট্যাটিস্টা ডট কম’ ও ‘দ্য ইকোনমিক টাইম’।
ইউএইচ/
Leave a reply