চার বছর যাবত দেবরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ভাবির। কিন্তু পাঁচ বছরের সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যেতে রাজি না হওয়ায় সেই ভাবিকেই খুনের অভিযোগ উঠেছে দেবরের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার জামনা এলাকায়। অভিযুক্ত দেবরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জামনার বাসিন্দা শ্রীমন্ত মাইতির স্ত্রী মৌসুমির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় ঘর থেকে। শ্রীমন্ত পেশায় রাজমিস্ত্রি। সেই সময় বাড়ি থেকে কিছু দূরে কাজে গেছিলেন তিনি। দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ি ফিরে শ্রীমন্ত তার স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। খবর দেয়া হয় পিংলা থানায়।
কিন্তু যেভাবে মৌসুমির দেহ ঝুলছিল তা দেখে গ্রামবাসী এবং পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে মঙ্গলবার গ্রামের লোকজন শ্রীমন্তর ভাই নীলাদ্রিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
গ্রামবাসীর একাংশের দাবি, সে সময় নীলাদ্রি স্বীকার করেছে, সে তার ভাবিকে খুন করেছে। গোবিন্দ ভক্ত নামে ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের প্রথম থেকেই নীলাদ্রিকে সন্দেহ হয়েছিল। ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বীকার করে, ‘আমি বউদিকে খুন করেছি।’ ওরই খুন করার সম্ভাবনা ছিল।
মৌসুমির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। নীলাদ্রির বিরুদ্ধে পিংলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে তার ভাই শ্রীমন্ত। প্রায় আট বছর আগে মৌসুমির সাথে বিয়ে হয়েছিল তার।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নীলাদ্রি জানিয়েছে, গত চার বছর ধরে ভাবির সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি ভাবিকে নিয়ে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল নীলাদ্রি। কিন্তু পাঁচ বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে তিনি বাড়ি ছাড়তে রাজি হননি। সে কারণেই তাকে নীলাদ্রি শ্বাসরোধ করে হত্যা করিছে বলে অভিযোগ।
নিহত মৌসুমির স্বামী শ্রীমন্ত বলেন, আমাদের একটা পাঁচ বছরের ছেলে রয়েছে। মৌসুমির সঙ্গে ভাইয়ের যে কোনওরকম সম্পর্ক ছিল তা আগে আমি জানতাম না। কিন্তু মৃতদেহ উদ্ধারের পর জানতে পারি ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। আমি ভাইয়ের শাস্তি চাই।
আরও পড়ুন- পরকীয়ায় চ্যাম্পিয়ন হলো যে দেশ
এনবি/
Leave a reply