যতদিন পর্যন্ত সরকারের পতন না হবে ও নিশ্চিত না হবে খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রা, ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। বিকেলে ঠাকুরগাঁওর জনসভা থেকে এ ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া সারাদেশে বিভিন্ন জেলায় সমাবেশে অংশ নিয়ে বিএনপি নেতারা বলেন, আবিলম্বে খালেদা জিয়াকে বিদেশে না পাঠালো চড়া মূল্য দিতে হবে সরকারকে।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সমাবেশ করছে বিএনপি। এসব কর্মসূচিতে স্থানীয় কর্মী-সমর্থদের সঙ্গে অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও।
২২ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩২ জেলায় কর্মসূচির শেষ দিনে বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁওয়ে সমাবেশে যোগ দেন বিএনপি মহাসচিব। এসময় তিনি হুঁশিয়ারি দেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ না পাঠালে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে সরকারকে।
একই দাবিতে সমাবেশ হয়েছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে। আশপাশের জেলা থেকেও সমাবেশে যোগ দেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নেত্রীর মুক্তির দাবিতে সরব দেখা গেছে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের।
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে দুপুর পর্যন্ত জেলায় পরিবহন বন্ধের অভিযোগ করে বিএনপি। বিকল্প উপায়ে বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা যোগ দেন সমাবেশস্থলে। প্রধান অতিথি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সংলাপের মধ্য দিয়ে সংকটের সমাধান হবে না।
এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে সমাবেশ করেছে ঢাকা জেলা বিএনপি। নেতাদের অভিযোগ, শুধু এক ব্যাক্তির প্রতিহিংসার কারণে উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া। একই স্থানে ৩০ ডিসেম্বরকে ভোটাধিকার হরণের কালো দিবস হিসেবে পালন করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন : ‘হায় আল্লাহ, খালেদা জিয়াও মুক্তিযোদ্ধা! অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা’
/এডব্লিউ
Leave a reply