বৃষ্টি-বন্যার ধকল কাটিয়ে পাইকারিতে সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় কমেছে দাম। অথচ রাজধানীতে বাছাই করা পণ্য বলে বাড়তি মুনাফা করার চেষ্টা করছেন অনেক ব্যবসায়ী। তাদের অভিযোগ, পরিবহন খরচে ভোগান্তি বেড়েছে। এমন বাজার দেখে হতবাক চাষিরাও। অন্যদিকে, ভারী হচ্ছে ক্রেতার দীর্ঘশ্বাস। তারা বলছেন, হাতবদলের প্রতিটি ধাপে অতিরিক্ত মুনাফার অভ্যাস না বদলালে দাম স্বাভাবিক হওয়া কঠিন।
বছরের শেষ দিনে রাজধানীর পলাশী বাজারে আড়মোড়া ভেঙেছে ভোরেই। ছুটির দিনে শীতের সবজি কিনতে ঢু মারছেন প্রায় সবাই। কিন্তু ইদানিং খাবারের প্লেটে ফুলকপি, শিম কিংবা টমেটো তোলা বেশ কঠিন। বাংলাদেশের বাজারে প্রায়শই মার খায় অর্থনীতির তত্ত্ব। এখানে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও পণ্যের দাম বাড়ে। তাই এখনও ফুলকপি-বাধাকপির পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ৭০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে শিম-টমেটো। কাঁচামরিচের দর স্বাভাবিক। সবচেয়ে কম ৩০ টাকা দরে মিলছে এক কেজি মূলা। খুচরা ব্যবসায়ীদের যুক্তি, তারা আড়ত থেকে বেছে ভালো পণ্য আনেন, তাই দাম বেশি। আর ক্রেতার অভিযোগ, পণ্য হাতবদলের প্রতিটি ধাপে বাড়তি মুনাফা করছে সবাই।
ঢাকার অদূরে পাইকারি বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। পণ্যে আসছে দেশের প্রায় সব প্রান্ত থেকে। এখানে বেশিরভাগ শীতের সবজির কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা। স্বস্তি ফিরেছে আলু ও পেঁয়াজের দামে। তাহলে বড় শহরে সবজির দর এত বেশি কেন? এমন প্রশ্নই এখন ক্রেতার মনে।
বৃষ্টি-বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠছেন উত্তরের কৃষক। জমিতে সবজি, শাকের ভরপুর আবাদ। তবে উৎপাদন খরচ বাড়ায় শঙ্কা আছে মুনাফা নিয়ে। তারা বলছেন, বাজারে সবজির ভালো দাম পাওয়া কঠিন। অথচ রাজধানীতে তাদের পণ্যই বিকোচ্ছে আগুন দামে।
এদিকে, গ্রীষ্মে সবজি আবাদ করে ঘুরে দাঁড়াতে এখন থেকেই পুঁজির খোঁজে ছুটছেন চাষিরা।
/এডব্লিউ
Leave a reply