করোনা সংক্রমণ এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রিত। ধীরে ধীরে ঘুড়ে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি। স্বাভাবিক হচ্ছে উৎপাদন। তবে সামনে এসেছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। আর নিয়ে বিশ্বব্যাপী বাড়ছে উদ্বেগ। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনীতেও শঙ্কা বাড়ছে। সংক্রমণ তীব্র হলে আবারও থমকে যাবে সবকিছু। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নতুন বছরে তাই উৎপাদন টিকিয়ে রাখাটাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দেশে তীব্র হয় করোনা সংক্রমণ। দরিদ্র হয় বড় সংখ্যাক মানুষ। উৎপাদন বন্ধ থাকায় হু হু করে বাড়ে বেকারের সংখ্যা। করোনা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। তবে চোখ রাঙানি দিচ্ছে নতুন সংক্রমণ। শঙ্কার মধ্যেও নতুন বছরে কতোটা ঘুড়ে দাঁড়াবে অর্থনীতি? অর্থনীবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করছেন, সংক্রমণ বাড়লে রফতানি বাণিজ্য আবারও থমকে যেতে পারে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশংকা তো আছেই। এই অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়বে দরিদ্র মানুষ। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য বাড়ছে। সেই ধাক্কা স্থানীয় বাজারেও পড়বে। তবে টিকা কার্যক্রম আরও জোড়ালো করা দরকার।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সীমিত ব্যয় নীতি গ্রহণের পক্ষে সরকার। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলছেন, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন করাও হবে এ বছরের বড় চ্যালেঞ্জ।
/এডব্লিউ
Leave a reply