বিএনপি, বাসদের পথ অনুসরণ করলো ইসলামী আন্দোলন

|

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ডাকা সংলাপে অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। শনিবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাইর পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। এ সময় তিনি নির্বাচনের সময় অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনের দাবিও জানান।

এর আগে বিএনপি, বাসদও ঘোষণা দেয় সংলাপে যোগ না দেয়ার। শনিবার সকালে রাজধানীতে আয়োজিত আরেক সংবাদ সম্মেলনে মোস্তফা মহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের একাংশও ড. কামাল হোসেনকে সংলাপে না যেতে অনুরোধ জানিয়েছে। ওই সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের একাংশের নেতারা জানায়, তাদের ডাকা হলেও তারা সংলাপে যোগ দেবে না। যদিও নতুন ইসি গঠনে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন রাষ্ট্রপতি। মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরাম অংশের নিবন্ধন নেই।

সংলাপে না যাওয়ার বিষয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ২০১২ ও ২০১৭ সালের সংলাপে অংশ নিয়ে আমরা চরমভাবে হতাশ হয়েছি। ২০১২ সালের সংলাপে গঠিত ইসি ২০১৪ সালে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করেছে। যেখানে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হয়েছেন। আর ২০১৭ সালের সংলাপের পর গঠিত কমিশন ১০১৮ সালে একটি চরম বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন করেছে। যাকে অনেকেই মধ্যরাতের নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করে।

এসব কলঙ্কময় নির্বাচনের জন্য কমিশনকে রাষ্ট্রপতির জবাবদিহিতার আওতায় না আনায় তারা হতাশ উল্লেখ করে মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, রাষ্ট্রপতি কোনো রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও গ্রহণ করেননি। তাছাড়া অতীতের দুইটি সংলাপে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের গঠনমূলক প্রস্তাবগুলোর কোনোটাই মূল্যায়ন করা হয়নি। যে দল তাকে রাষ্টপতি হিসেবে নির্বাচন করেছে, তিনি সেই দলীয় স্বার্থের বাইরে যেতে পারেননি। অতীতের দুটি সংলাপ যেমন জনপ্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, চলমান সংলাপেও এর ব্যতিক্রম কিছু হবে না।

এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, জন-আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে এমন একটি আবেদনহীন ও তাৎপর্যহীন সংলাপে অংশ নেয়াটা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সঙ্গত মনে করে না।

রাষ্ট্রপতির সংলাপ বর্জন করে দলটি সাত দফা দাবি জানায়। এসব দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই নির্বাচনের সময় অন্তর্বতীকালীন জাতীয় সরকার গঠন করা। ইসি গঠন আইন চলমান সংসদের মাধ্যমে নয়; রাজনৈতিক সংগঠন ও সমাজের স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে কনস্টিটিউশনাল কাউন্সিল গঠন করে তাদের মাধ্যমে ইসি গঠনসংক্রান্ত আইন প্রস্তুত করে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।

এমএন/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply