ইনজুরির সকল উপাদানে ভর্তি টার্ফে চলছে ফেডারেশন কাপ

|

কমলাপুর টার্ফ।

বিতর্কিত কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফ বসানোর সময়ই ছিল গলদ। ২০১৫ সালে বসানো কমলাপুরের টার্ফের জায়গায়-জায়গায় ছেড়া। উপরে উঠে আসছে পাথর। সঠিক পর্যবেক্ষণের কারণে কমে গেছে ইনফিল নামের কালো রাবার। ইনজুরির এই সকল উপাদানে ভর্তি টার্ফেই চলছে ফেডারেশন কাপ। অভিযোগ আছে, টার্ফের জন্য নিয়োজিত মেশিনটিও ব্যবহার করা হয় না এই মাঠে। শুধু তাই নয়, টার্ফ বসানোর সময় বাজেটের অর্থ নয়-ছয় করার ইঙ্গিতও আছে বাফুফের দিকে।

খড়কুটো, চকলেটের খোসা, খেজুরের বিচির মতো অনেক কিছুই মিলবে কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফে। সমালোচনায় জর্জরিত টার্ফ দেখতে গিয়ে যমুনা টিভির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে এসব চিত্র। ফুটবল ফেডারেশনের আপত্তির কারণে বেশিক্ষণ সেই দৃশ্য ধারণ করা যায়নি।

এই টার্ফ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে চান্দু নামে যিনি আছেন তার এই আর্টিফিশিয়াল টার্ফ সম্পর্কে নেই পূর্ণাঙ্গ ধারণা। তার সাথে কথা বলতে চাইলে সেখানেও আপত্তি জানায় বাফুফে। চান্দুর কাছ থেকে কোনো তথ্য না মিললেও বিস্ফোরক খবর পাওয়া গেল বাফুফের সাবেক সদস্য ফজলুর রহমান বাবুলের কাছে। এই কমলাপুর টার্ফ বসানোর সময় বাফুফের গ্রাউন্ডস এন্ড ফ্যাসেলিটিজ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।

ফজলুর রহমান বাবুল বলেন, ডাগআউট দিল্লি থেকে এসেছিল। আমি দেখলাম, যে টাকায় দুটি ডাগআউট এসেছে, সেই টাকায় ছয়টা ডাগআউট বানাতে পারি আমি। এই টাকা পরিশোধ করে ফিফা। ৬ কোটি নাকি ৫ কোটি করে দিয়েছে, সে সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। আর আমার কোনো সাক্ষরও তারা নেয়নি।

এই টার্ফে কতদিন খেলা যেতে পারে, সে প্রসঙ্গে ফজলুর রহমান বাবুল বলেন, এটার স্থায়ীত্ব নিয়ে বলতে গেলে বলতে হয়, এটার জন্মের পর থেকেই অসুখ। এটার আয়ু নিয়ে আর কী বলবো! এটাতে যে ৬-৭ বছর খেলা হয়েছে, সেটাই তো শুকরিয়া!

মূলত ঘাসের মাঠের জায়গায় কমলাপুর স্টেডিয়ামের শক্ত টার্ফে খেলে একাধিক ফুটবলার আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এমন আপত্তি জানায় ক্লাবগুলো। এর মাঝে বসুন্ধরা কিংস, উত্তর বারিধারার সাথে ছিল মুক্তিযোদ্ধাও। এত কিছুর পরও এখানেই হচ্ছে ফেডারেশন কাপের ম্যাচ, যাতে খেলছে না বলে নিষিদ্ধ হয়ে জরিমানা গুণতে হবে তিনটি ক্লাবকে।

আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ হলো বসুন্ধরা কিংস ও উত্তর বারিধারা, ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply