উৎক্ষেপণের কয়েক দিন পরেই কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগের সব ধরনের সংযোগ হারিয়ে ফেলেছে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা।
রোববার ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, আইএসআরও এ তথ্য জানায়।
এক বিবৃতিতে আইএসআরও জানায়, তারা জিস্যাট-৬এ স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছে। পুণরায় যোগাযোগ স্থাপনে জোর চালানো হচ্ছে।
দেশিয় মডেলের দুই হাজার টনের অধিক ওজনের এই স্যাটেলাইটটি ভারতের সেনা বাহিনীর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
ওই কৃত্রিম উপগ্রহটি বৃহস্পতিবার বেশ ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ভারতের দক্ষিণের রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়।
এ নিয়ে টুইটও করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, “উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য জাতিকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করায় আইএসআরও-কে গর্বিত।”
মহাকাশ গবেষণা প্রকল্প ভারতের জন্য গর্বের বিষয়, এবং উদীয়মান সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে দেশটির অবস্থানকে বিশ্বে তুলে ধরে।
জিস্যাট-৬এ স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণকে আইএসআরও-এর সাফল্যে মুকুটে আরও একটি পালকে হিসেবে দেখা হচ্ছিল। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতই প্রথম ২০১৪ সালে অত্যন্ত কম খরচে মঙ্গল গ্রহে মহাকাশযান পাঠাতে সক্ষম হয়েছিল।
ওই সাফল্য ভারতকে দিয়েছিল মহাকাশ গবেষণায় সবচেয়ে সাশ্রয়ী দেশের মর্যাদা। কেননা, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ম্যাভেন মার্স প্রকল্পে ৬৭ কোটি ১০ লাখ ডলার খরচ করলেও ভারতের খরচ হয়েছিল মাত্র ৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে একটি মাত্র রকেট দিয়ে ১০৪টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ মাধ্যমে রাশিয়াকে পেছনে ফেলে রেকর্ড গড়েছিল ভারত। ২০১৪ সালের জুনে রাশিয়া একটি রকেট দিয়ে উৎক্ষেপণ করেছিল ৩৯টি স্যাটেলাইট।
কিন্তু ভারতে মহাকাশ অভিযানগুলো মাঝে মাঝে নানা ধরনের ব্যর্থতার মুখে পড়ে। গত বছরের আগস্টে একটি নেভিগেশন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে গেলে বড় ধরনের প্রযুক্তি ত্রুটি ধরা পড়েছিল।
যমুনা অনলাইন: এফএইচ
Leave a reply