নারায়ণগঞ্জে শহরজুড়ে যানজট নিত্যদিনের সঙ্গী। বহু বছর ধরে এ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পেলেও দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ এখনও দেখেনি কেউ। মূল সমস্যা চিহ্নিত হলেও সমাধান না হওয়ার কারণ অজানা। যদিও সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে সব প্রার্থী আবারও আশ্বাস দিচ্ছেন যানজট নিয়ন্ত্রণের।
নারায়ণগঞ্জ সিটি। ৭২ দশমিক ৪৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের শহরটিতে যানজট বেশ পুরানো সমস্যা। কাছাকাছি গন্তব্যে যেতে বাড়তি সময় আর ভোগান্তির শেষ নেই মানুষের। এলোমেলোভাবে রাখা গাড়ির কারণে বেশিরভাগ রাস্তা দখলে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ভার যাদের কাঁধে তাদেরও আছে দায়সারা ভাব। পুলিশ বলছে, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মানুষের এলোমেলো গাড়ি রাখার প্রবণতার জন্যই ট্রাফিক দুর্ভোগ। তবে তাদের দাবি, সবসময়ই সড়কের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন তারা।
নির্বাচন মানেই প্রতিশ্রুতির ছড়াছড়ি। প্রতিবারের মতো এবারও ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর কথা জানাচ্ছেন মেয়র প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলছেন, পরিবহন বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে একটি মাস্টারপ্লান নিয়ে পরিকল্পনা করছেন তারা। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারও বলছেন, মেয়র, সংসদ সদস্য ও প্রশাসন, এই তিন বিভাগের সম্মিলিত উদ্যোগেই সম্ভব নারায়ণগঞ্জের যানজট নিরসন।
তবে যে করেই হোক ভোগান্তি থেকে মুক্তি চায় নগরবাসী। নতুন নির্বাচনে তাই নতুন আশায় বুক বাঁধছেন তারা।
আরও পড়ুন : নারায়ণগঞ্জ সিটিতে সবার নজর নতুন ভোটারদের দিকে
/এডব্লিউ
Leave a reply