চট্টগ্রামে বে টার্মিনাল নির্মাণে কিছুতেই গতি আসছে না। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ৩ বছর পরও কাটেনি জমি অধিগ্রহণ জটিলতা। যদিও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলছেন, বিদেশি ৮টি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগে আগ্রহী। ২০ হাজার কোটি টাকার বে টার্মিনালকে বলা হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিপূরক বন্দর। তবে নির্মাণের দীর্ঘসূত্রিতায় হতাশ ব্যবসায়ীরা।
প্রায় পাঁচ বছর আগে কারিগরি, অথনৈতিক এবং পরিবেশগত সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় পতেঙ্গা এবং হালিশহর সমুদ্র উপকূলবতী এই এলাকাজুড়ে বে টার্মিনাল নির্মাণের পক্ষে মত দিয়েছিল বিশেষজ্ঞ দল।
বন্দর কর্তৃপক্ষের হিসেবে, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের এই এলাকায় প্রাথমিক ভাবে জন্য প্রয়োজন আড়াই হাজার একর জমির। এর মধ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন মাত্র ৬৬ একর জমি অধিগ্রহণ হয়েছে। আর ৮০৩ একর সরকারি খাস জমি অধিগ্রহণের অনুমতি মিললেও এখনও বুঝে পায়নি বন্দর কর্তৃপক্ষ।
জমি অধিগ্রহ নিয়ে জটিলতার কথা স্বীকার করলেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীও। বললেন, তবে কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলছে। প্রতিমন্ত্রী আশা করছেন, শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই বে-টর্মিনাল নির্মাণ শুরু করতে চায় সরকার। সে লক্ষ্যে চলছে বালু ভরাটের কাজ। যদিও এক দশক আগে এই টার্মিনাল নির্মাণ পরিকল্পনা এখনও বাস্তবে রূপ না পাওয়ায় হতাশ ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বলছেন, বড় পরিকল্পনার ত্রুটিমুক্ত বাস্তবায়নের জন্য সময় লাগা স্বাভাবিক। তবে সে সেময় কতটা দীর্ঘ হবে তা বিবেচনায় রাখা উচিত।
কর্তৃপক্ষের দাবি, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, চীনসহ বিভিন্ন দেশের অন্তত ৮টি প্রতিষ্ঠান বে টার্মিনালে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানালেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী। যা এখন যাচাই বাছাইয়ের পর্যায়ে। দ্রুতই চুক্তি সম্পন্ন হবে বলেও জানালেন তিনি।
প্রস্তাবিত বে টার্মিনাল হবে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে ৫ গুণ বড়। এটি দিয়ে সামলানো যাবে আগামী ১শ বছরের আমদানি রফতানির চাপ।
/এডব্লিউ
Leave a reply