সৌদি আরবের তুবাক প্রদেশে শুরু হয়েছে তীব্র তুষারপাত। তীব্র গরমের দেশটিতে তুষারপাতের এ খবর ছড়িয়েছে বিস্ময়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তুষারপাতের ভিডিও নিয়ে এরই মধ্যে উঠেছে নানা প্রশ্ন। কারণ, ধু ধু মরুর বুকে তুষারপাতের ঘটনা যে আসলেই দুর্লভ!
সৌদি আরবের নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিস্তীর্ণ মরুর দৃশ্য। সাধারণত উষ্ণ আবহাওয়ার জন্যই পরিচিত মরুভূমির দেশ খ্যাত সৌদি আরব। তবে গত শনিবার (১ জানুয়ারি) থেকে দেশটির তুবাক প্রদেশে শুরু হয়েছে তীব্র তুষারপাত। ঝলসানো রোদের তাপ যেখানকার নিত্য দৃশ্য, সেখানে এমন বরফ পড়া নিয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কিনা, সে প্রশ্নও এসেছে সামনে। তবে আরব নিউজ বলছে, তুষারপাত মোটেই বিরল নয় সৌদি আরবে। প্রতি বছরই শীত মৌসুমে তুবাক, তুরেইফ, আরার ও রাফা প্রদেশে তাপমাত্রা নেমে যায় হিমাঙ্কের নিচে। তাই উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে তুষারপাত খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।
মূলত অঞ্চলভেদে বৈচিত্র্যময় প্রকৃতির কারণেই তাপমাত্রার এ ভিন্নতা। এর প্রভাবেই তারতম্য দেখা যায় আবহাওয়ায়। বিস্তীর্ণ ধূসর মরু তখন ঢাকা পড়ে সাদা তুষারের চাদরে। রীতিমত পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয় অঞ্চলগুলো। দেশ-বিদেশের দর্শণার্থীরা ছুটে আসেন বার্ষিক তুষারপাত উপভোগে। চলতি বছরও আসির, আল মদিনা, জাঝান, হেইল’সহ বেশ কয়েকটি প্রদেশে তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন: ২০ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের পায়ের ছাপ পাওয়া গেলো
তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে, এমনটিই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়ার তথ্য অনুযায়ী, গেল বছর সাহারার আলজেরিয়া অংশের নামা প্রদেশে হয় তুষারপাত। গেল ৫০ বছরের মধ্যে মাত্র তিনবার এ ঘটনার সাক্ষী হয়েছে দেশটি। আর অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় পর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে হয় তুষারপাত।
আরও পড়ুন: কেন শীর্ষ মাদক উৎপাদনকারীতে পরিণত হচ্ছে মিয়ানমার?
Leave a reply