স্ত্রী ছেড়ে চলে যাবে এরকম সন্দেহে স্ত্রীর গলায় ব্লেড চালিয়ে হত্যাচেষ্টার পর নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে এক স্বামী। শনিবার সকালে ভারতের হুগলির পুরশুড়ার নিমডাঙ্গি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়ম, প্রেম করে বছর দুয়েক আগে দেবদাসের সাথে সাগরিকার বিয়ে হয়। ভালোই চলছিল তাদের সংসার। দেবদাস বাড়িতেই কম্পিউটারের কাজ করে সংসার চালাতেন। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে দেবদাসবাবু মানসিকভাবে হতাশ হয়ে পড়েন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর সন্দেহ তৈরি হয় স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যাবে। এই আশঙ্কায় তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শনিবার সকালে দেবদাসের বাবা মাঠে চাষের কাজে গিয়েছিলেন। জলের জন্য পাড়ার কলে গিয়েছিলেন মা। হঠাৎ তালাবন্ধ বাড়ির ভিতর থেকে আর্তনাদ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে যায়। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জনে মেঝেতে পড়ে ছটফট করছেন। দু’জনের গলায় ব্লেডের কাটা চিহ্ন। পাশেই মেঝেতে পড়ে আছে রক্তমাখা ব্লেড। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীরা দু’জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন স্ত্রী সাগরিকা বলেছেন, “ স্বামী তাঁকে ছাড়া এক মুহূর্ত চলতে পারেন না। তাকে খুব ভালবাসেন। কিন্তু কয়েক দিন ধরে ওঁর মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হয়। ওর ধারণা হয় আমি সাগরিকা তাঁকে ছেড়ে চলে যাবো। সবসময় এই ছেড়ে চলে যাওয়ার আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছিল। ছেড়ে না চলে যাওয়ার জন্য আমার কাছে বারবার অনুরোধও করেছিলো।
সাগরিকা আরও জানান, “তিনি স্বামীকে বলেছিলেন, এই ধরনের ভয়ের কোনো মানেই হয় না। ডাক্তার দেখালে সব ঠিক হয়ে যাবে। ভালবেসে অনেক বোঝালাম, ভাবলাম সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এদিন সকালে হঠাৎ ঘরে ঢুকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ও আমার গলায় ব্লেড চালিয়ে, নিজের গলায় ব্লেড চালিয়ে দেয়।”
প্রতিবেশীদের বক্তব্য, এমন অবুঝ প্রেম! দু’জনের মধ্যে এত গভীর সম্পর্ক। এমন ঘটনা যে ঘটবে তার বিন্দুমাত্র আঁচ পাওয়া যায়নি।
Leave a reply