সরকারি এক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য পরিচয় দিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের কাছে পাঁচ লাখ চাঁদা দাবির অভিযোগে চিত্ত রঞ্জন দাস ওরফে সুমন মিয়া নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর উত্তর আদাবর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গ্রেফতারকৃত সুমন মিয়া কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত রগুন চন্দ্র দাসের ছেলে। গত ১২ বছর আগে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সুমন নাম ধারণ করে। পরে নিজেকে মুসলিম হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার কাজে জড়িয়ে পড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরও জানান, গত ২২ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় ডিবি পুলিশের সোর্স হুমায়ুন এবং বাবু নামে অনলাইন পোর্টালের এক সাংবাদিকের সাথে যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে সুমন।
এ সময় অভিযুক্ত সুমন মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের মোবাইলে ফোন করে নিজেকে গোয়েন্দা সংস্থার লোক পরিচয় দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এরপর সে কয়েক দফায় ফোন করে দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে চাপ সৃষ্টি করে এবং একটি বিকাশ নম্বর দেয়।
এ ঘটনার বিষয়ে তৈমূর আলম খন্দকার গত ১ জানুয়ারি সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ মোবাইল কল লিস্টের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে। ২ জানুয়ারি রাতে আবারো সুমন তৈমূর আলমকে ফোন করে চাঁদা দাবি করলে পুলিশ তার অবস্থান নিশ্চিত হয়।
এরপর রাজধানীর উত্তর আদাবর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাতেই গ্রেফতার করা হয় সুমনকে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, মূলত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়াই ছিল আসামি সুমন ও তার সহযোগীদের উদ্দেশ্য। তার সহযোগিদের গ্রেফতারের পুলিশের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন-নাটোরে রুই মাছের পেটে মিললো স্বর্ণের চেইন
এনবি/
Leave a reply