এমন ভোর আর আসেনি বাংলাদেশের ক্রিকেটে। কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ বিবেচনায় এত বড় জয় এর আগে বাংলাদেশ পায়নি কখনো। এ এক অন্যরকম সকাল, অন্যরকম ভোর বাংলাদেশের ক্রিকেটে। যে ভোরে বাঘের গর্জনে কাঁপলো কিউইরা।
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জিতে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। ক্রিকেট ইতিহাসে কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ বিবেচনায় এটি বাংলাদেশের সেরা জয়। শেষ দিনে এবাদত-তাসকিনের দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ২২ রান তুলতেই শেষ ৫ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ৬ উইকেট শিকার করেন ম্যাচ সেরা এবাদত। কঠিন কন্ডিশনে ৪০ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
৫ জানুয়ারি তারিখটা খুব সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে জায়গা করে নিলো অন্যতম স্মরণীয় ভোর হিসেবে। প্রতীক্ষা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায়; তখনও এদেশের গ্রাম-গঞ্জ-শহর ঘুমিয়ে, নিঃশব্দ চরাচর! ঢাকা থেকে ১১ হাজার কিলোমিটার দূরে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে তাসকিন আহমেদের হাতে শুরু হলো ঐতিহাসিক দিনের প্রথম ওভার। কিন্তু যে দৃশ্যের প্রতীক্ষায় ছিল বাংলাদেশ, তা ঘটে গেল পরের ওভারেই। রস টেইলর তার পরিপুষ্ট ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা দিয়েও এবাদত হোসেনকে আটকাতে পারলেন না। আর সেটাই হয়ে যায় পঞ্চমদিনে বাংলাদেশের দ্রুত জয় তুলে নেয়ার অনুঘটক। ২০১৩ সালের পর কোনো বাংলাদেশি পেসার আবার পেলেন ৫ উইকেটের দেখা।
এরপর কাইল জেমিসনকে শর্ট মিড উইকেটে শরিফুলের অনন্য ক্যাচ বানিয়ে ষষ্ঠ শিকার ধরেন সিলেটের পেসার এবাদত। এবাদতে অনুপ্রাণিত তাসকিনও হাত লাগাতে দেরি করেননি। হানেন জোড়া আঘাত। দুই পেসার টানা ৯টি উইকেট শিকার করার পর শেষটা করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ডিপ মিড উইকেটে ট্রেন্ট বোল্টের অসাধারণ এক ক্যাচ ধরে ইনিংস মুড়ে দেন দ্বাদশ ফিল্ডার তাইজুল।
আরও পড়ুন: ইতিহাস গড়া এই জয় ভুলে যেতে চান মুমিনুল
১৬৯ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। এদিন মাত্র ২২ রান তুলতেই শেষ ৫ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।
তবে মাত্র ৪০ রানের জয়ের লক্ষ্যই কঠিন করে দেন টিম সাউদি। অভিজ্ঞ পেসারের রাইজিং বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন শাদমান ইসলাম। তবে মুমিনুলের সাথে জয়ের ইনজুরিতে ওপেনার হিসেবে খেলতে নামা শান্ত ৩১ রানের জুটি গড়ে কঠিনকে সহজ করে ফেলেন। টেলরের এক হাতের ক্যাচ হয়ে ফেরেন ১৭ রানের শান্ত।
অধিনায়ক মুমিনুলকে সাথে নিয়ে ২২ গজে জয়ের বন্দরে নোঙর করেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিক। টেস্টের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের তাদেরই মাটিতে হারায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ম্যাচসেরা হয়ে যা বললেন এবাদত
Leave a reply