উইঘুর মুসলিমদের উপর নিপীড়নের ঘটনায় তুরস্কের আদালতে করা হয়েছে মামলা। দেশটিতে কর্মরত চীনা কূটনীতিকদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে গণহত্যা, ধর্ষণ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ। চীন সরকারের নির্যাতনের শিকার উইঘুরদের স্বজনরা করেন এই মামলা।
চীনা কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে মামলার পর ইস্তাম্বুলের আদালত চত্ত্বরে বিক্ষোভ করেন নিপীড়নের শিকার উইঘুরদের স্বজনেরা। একজন বলেন, আমার বোনকে ৫ বছর আগে আটক করে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ নেই।
আইনজীবীরা বলছেন, তুরস্কের বিধান অনুযায়ী এই মামলা করা হয়েছে। মামলাটিতে চীনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, গুম এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। আইনজীবী গুলদেন সনমেজ বলেন, তুরস্কের আইন অনুযায়ী, বিশ্বের কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে এখানে তার বিচারে মামলা করার বিধান রয়েছে। আমরা চাই এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে আওয়াজ উঠুক। সে কারণেই তুরস্কের আদালতে এই মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বছরের শুরুতেই ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়লো উত্তর কোরিয়া
আইনজীবীরা আরও বলছেন, নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতার কারণেই উইঘুর নির্যাতনের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হয়নি। গুলদেন সনমেজ বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে এই মামলার কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে যাওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু যেহেতু চীন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য তাই সেটা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এবং এই ইস্যুতে আইনি প্রক্রিয়া কার্যকর হওয়া সম্ভবও নয়। হলে এতদিনে চীনের উপর সামরিক এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়ে যেতো। নিরাপত্তা পরিষদের কাজই হলো মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করা। কিন্তু যখন একটি সদস্যই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তখন আর করার কিছুই থাকে না।
জাতিসংঘ বলছে, চীনা কর্তৃপক্ষের বর্বরতার শিকার অন্তত উইঘুরের ১০ লাখ মানুষ। কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে আটক, গুম, হত্যা এবং ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে জিনজিয়াং প্রদেশে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি; বিক্ষোভে উত্তাল কাজাখস্তান
Leave a reply