দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কেপ টাউন টেস্টে অধিনায়ক স্মিথের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বল বিকৃতি ঘটনায় বিশ্ব জুড়ে চলছে ব্যাপক তোলপাড়।
দোষী অজি ক্রিকেটাদের পক্ষে অনেকেই সহানুভুতি প্রকাশ করেছেন, আবার অনেকেই বলেছেন আজীবন নিষিদ্ধ করা হোক।
তবে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি ভোগাবে তা হচ্ছে সন্দেহের তীর, মানে অজি খেলোয়াড়রা এমনটি এর আগেও করেছেন। কিন্তু এবারই শুধু ধরা পড়েছেন।
ইতিমধ্যে আম্পায়ান ড্যারেল হার্পার তো বলেছেন, স্মিথ-ওয়ার্নার অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটেও বল টেম্পারিং করেছিল।
শুধু অজিরানয়, বল বিকৃতি ঘটিয়ে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা বিভিন্ন সময়ে শাস্তিও পেয়েছেন। আর বল বিকৃতির একটি তীর তো সব সময় পাকিস্তানি ফাস্ট বোলারদের দিকে তাক করাই থাকে!
এবার সাবেক আম্পায়ার জন হোল্ডার বিবিসিকে বলেছেন, বল বিকৃতির ঘটনা বহুবার হাতেনাতে ধরেও নাকি কোনো লাভ হয়নি।
তিনি বলেন, ১৩ বছরের পেশাগত জীবনে মাঠে হরহামেশা এ ধরনের প্রতারণা দেখেছি। কিন্তু শাস্তির বিধান না থাকায় কিছু করতে পারেনি।
জন হোল্ডার ১৯৮৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়ে মাঠে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
হোল্ডার জানান, লন্ডনে ওভালের মাঠে ১৯৯১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত এক টেস্ট ম্যাচে ইংলিশ ক্রিকেটারদের বল বিকৃতি নিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।
তিনি বলেন, “উইকেট-কিপার অ্যালেক স্টুয়ার্টের কাছে ওভারের শেষ বল যাওয়ার পর তার কাছ থেকে আমি বলটা নিলাম। দেখলাম বলটিতে বুড়ো আঙ্গুলের নখ দিয়ে আঁচড়ানোর দাগ। প্রচণ্ড রা হয়েছিল। পুরোপুরি প্রতারণা করা হচ্ছে, তা বুঝতে পারছিলাম।”
ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন গ্রায়াম গুচকে তখনই ডেকে আম্পায়ার হোল্ডার বলেন, “বলে এত আঁচড় কেন, একটু বুঝিয়ে বলবেন কী ক্যাপ্টেন ?” কাঁধ উঁচিয়ে তাচ্ছিল্যের সাথে তিনি জবাব দিয়েছিলেন, ‘বলতে পারবো না’।”
এরপর তিনি কী করেছিলেন? এর প্রশ্নের জবাবে জন হোল্ডার বলেন, “বলে আঁচড়ের জন্য কোনো শাস্তির বিধান ছিল না। শুধু বলটা বদলে দিতে পারতাম।”
কিন্তু ক্রুদ্ধ হোল্ডার বল বদল দিয়েই ক্ষান্ত হননি, খেলা শেষে ইংল্যান্ড দলের বল বিকৃতি নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনাটি আর আলোর মুখ দেখেনি।
হোল্ডার বলেন, “এ বিষয়ে কর্মকর্তাদের জানালেও তাদের মধ্যে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার প্রবণতা ছিল।”
যমুনা অনলাইন: এফএইচ
Leave a reply