গত কয়েক মাসে প্রেক্ষাগৃহে একের পর এক সিনেমা মুক্তি পেলেও চোখের পড়ার মতো দর্শক আসছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মধুমিতা সিনেমা হলের কর্ণধার ও প্রদর্শক সমিতির সাবেক সভাপতি ইফতেখার আহমেদ নওশাদ। একই মন্তব্য করেছেন আরও বেশকজন হল মালিক।
নওশাদ বলেন, ব্যবসায়িক মন্দা কাটছে না। মধুমিতার মতো সিঙ্গেল স্ক্রিনের জন্য কর্মাশিয়াল সিনেমা লাগবে। যারা নিয়মিত সিনেমার দর্শক তারা কমার্শিয়াল ধাঁচের সিনেমা পছন্দ করে। শাকিব খান নিয়মিত এ ধরণের সিনেমা করে থাকেন। তার সিনেমার দর্শক আলাদা। হলে হলে আগের মতো ভিড় বা লম্বা লাইন ফেরাতে হলে শাকিব খানের সিনেমা মাস্ট লাগবে।
ইফতেখার আহমেদ নওশাদ আরও বলেন, গণমানুষ তার (শাকিব খান) সিনেমা যে পরিমাণে দেখে অন্যদের সিনেমা সেভাবে দেখে না। দেশে মধুমিতার মতো সিঙ্গেল স্ক্রিন বাঁচাতে শাকিব ছাড়া উপায় নেই। তার পুরাতন সিনেমা চালালেও প্রচুর দর্শক আসে। হল মালিকদের কথা ভেবে এবং দর্শকের আগ্রহ বিবেচনায় শাকিবের সিনেমাগুলোর প্রযোজকদের বলতে চাই, তার আরও বেশি সিনেমা মুক্তি দেয়া উচিত। এবং এরকম কমার্শিয়াল সিনেমাগুলো নিয়মিত হলে মুক্তির ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে।
নওশাদের মতো একই কথা বললেন গাজীপুরের বর্ষা সিনেমা হলের ব্যবস্থাপক আবদুর রহমান। তিনি মনে করেন, গত কয়েকমাসে যেসব সিনেমা মুক্তি পেয়েছে এগুলো ‘ঠাণ্ডা মেজাজের’। ঢাকার বাইরে যারা নিয়মিত সিনেমা দেখেন তারা অ্যাকশন, রোম্যান্টিক, বাণিজ্যিক সিনেমা পছন্দ করে। শ্রমজীবী যারা একদিন সিনেমা দেখতে আসে তারা এরকম ‘ঠাণ্ডা মেজাজের ছবি’ দেখতে চান না।
আবদুর রহমান আরও বলেন, ‘নাচ গান ফাইটিংয়ে ভরপুর সিনেমা এলে মানুষ হুমড়ি খেয়ে আসে। এর মধ্যে নতুন ধাঁচের সিনেমা চালিয়ে লোকসান গুনেছি। অনেকদিন ধরে সিনেমা হলে শাকিব খানের নতুন সিনেমা আসছে না। এখনকার নতুন সিনেমাগুলোর চেয়ে শাকিব খানের পুরাতন সিনেমাতে দর্শক বেশি হয়। সিনেমা হলে দর্শক ফেরাতে শাকিব খানের সিনেমার কোনো বিকল্প নেই।
/এসএইচ
Leave a reply