স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ফেনী:
ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের তেরবাড়িয়া গ্রামে এক বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকের বাড়িতে হামলা করেছে পরাজিত প্রার্থীরা কর্মীরা। এ সময় ওই বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে পরিবারের লোকজনদের মারধর করার অভিযোগ উঠে।
বুধবার সন্ধ্যায় তেরবাড়িয়া গ্রামের আইয়ুব নবীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ হামলায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী মনিকা ইয়াসমিন উর্মী আহত হয়েছেন।
জানা যায়, প্রবাসী আইয়ুব নবী লেমুয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মাসুদ তালুকদারকে সমর্থন করেন। বুধবার বিকেলে ফলাফল ঘোষণার পর আপেল মার্কার (পরাজিত প্রার্থী) আবু বকর প্রার্থীর লোকজন আইয়ুব নবীর বাড়িতে হামলা করে। এ সময় বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ঘরে ঢুকে যায়। ঘরের দরজা জানালা ভেঙে নগদ ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ও সোনার দুটি চেইন লুট করে নিয়ে যায়।
আইয়ুব নবীর জানান, আমি এলাকার ছোট ভাই মাসুদ তালুকদারকে সমর্থন দিয়েছি। যার কারণে তার প্রতিপক্ষ প্রার্থী আপেল মার্কার প্রার্থী আবু বকর পরাজয় বুঝতে পেরে আমার বাড়িঘরে হামলা চালায়। আমার সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের পেটে লাথি দেয়। তার গলা থেকে চেইন নিয়ে যায়। আমার স্ত্রীর গলা থেকেও স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। আমার ঘরে থাকা এক লাখ ৮৪ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তারা বাড়ির চারপাশে তাণ্ডব চালায়। বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে। আমি তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই। আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আছি। এরপর থানায় গিয়ে মামলা করবো।
আইয়ুব নবীর স্ত্রী জাহানারা আক্তার জানান, আমরা এখন ঘরে থাকতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার দুই মেয়ে নিয়ে টেনশনে আছি। নির্বাচনে কাউকে সমর্থন করলে এ রকম হামলার শিকার হবে জানলে আমার স্বামীকে সমর্থন করতে দিতাম না। আমার গলায় থাকা লকেটসহ দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।
এ বিষয়ে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা বলেন, পুলিশ এ ঘটনার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ না পাওয়ার পরও আমরা ঘটনাটি শুনেছি ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
এ বিষয়ে আপেল প্রতীকের প্রার্থী আবু বকরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি এ বিষয়ে বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে তাদের পারিবারিক কোনো ঝামেলা থাকতে পারে।
ইউএইচ/
Leave a reply