মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি জিডি করেন।
লিখিত অভিযোগে ডা. জাহানারা এহসান বলেছেন, বিবাদী ডা. মুরাদ হাসানের সঙ্গে বিগত ১৯ বছর যাবত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। বিবাহিত জীবনে আমাদের সংসারে একটি মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে। বিবাদী আমার স্বামী। তিনি বর্তমানে সরকারের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি কারণে-অকারণে আমাকে এবং আমার সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ৩টার দিকে পূর্বের ন্যায় আমাকে ও সন্তানদের গালিগালাজ করে মারধর করতে গেলে আমি ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে সহায়তা চাই। ধানমন্ডি থানা পুলিশ বাসার ঠিকানায় পৌঁছালে বিবাদী বাসা হইতে বাহির হইয়া যায়। আমি এমতাবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় আছি। বিবাদী আমাকে এবং আমার সন্তানদের যেকোনো সময় ক্ষতিসাধন করিতে পারে।
এর আগে এদিন বিকেলে জাহানারা এহসান জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে জানান, তাকে মারধর করা হচ্ছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। এজন্য তিনি পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন।
এরপর ৯৯৯ থেকে বিষয়টি রাজধানীর ধানমন্ডি থানা পুলিশকে জানানো হয়। তারপরই পুলিশের একটি দল মুরাদ হাসানের বাসায় যায়।
প্রসঙ্গত, গত ১ ডিসেম্বর ফেসবুক লাইভে তৎকালীন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে। যা সমালোচনার ঝড় তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রতিবাদ জানায় সাধারণ জনগণ থেকে বিভিন্ন সংগঠন। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। পরবর্তীতে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সাথে তার কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে তৈরি হয় নতুন বিতর্ক। এর আগে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালেও নানান সময়ে বেফাঁস মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন ডা. মুরাদ হাসান।
এরই প্রেক্ষিতে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান। এরপর তাকে আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কার করা হয়। বির্তকের মুখে দেশত্যাগ করলেও কানাডায় ঢুকতে না পেরে দেশে ফিরে আসেন তিনি। তারপর থেকেই আড়ালে রয়েছেন মুরাদ হাসান।
এমএন/
Leave a reply