১৫ লাখ টাকার চেক দিয়েও মনোনয়ন পাননি এক যুবলীগ নেতা, এখন ফেরত চাইছেন টাকা। ফেসবুক পোস্টে দেয়া মনোনয়ন বাণিজ্যের এমন অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় চলছে চট্টগ্রামে। যা এখন টক অব দ্য টাউন। অভিযোগের তীর এক সংসদ সদস্য ও এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করছেন দুজনেই।
নিজের ফেসবুক পেইজে পোস্ট দিয়ে চট্টগ্রাম জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি এবং দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক কামাল উদ্দিন অভিযোগ করেছেন, সোনাকানিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাইয়ে দেয়ার কথা বলে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদের নামে ১৫ লাখ টাকার চেক নিয়েছেন সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হোসেন কবির। মনোনয়ন দেয়া দূরে থাক, কেন্দ্রে তার নাম পর্যন্ত পাঠায়নি উল্লেখ করে চেক ও টাকা ফেরত চেয়েছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুবলীগ নেতার এমন অভিযোগের পর তোলপাড় সৃষ্টি হয় চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে। তবে অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমদ।
সংসদ সদস্যের নামে চেক নেয়ার কথা অস্বীকার করেন সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হোসেন কবিরও।
ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার পর থেকে অভিযোগকারি যুবলীগ নেতার মোবাইল বন্ধ। আদালত ভবনের চেম্বারেও তালা।
এমন ঘটনায় বিব্রত দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতারাও। চট্টগ্রাম দক্ষিণ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথী চৌধুরী বলেন, টাকা দিয়ে মনোনয়ন কেনার চেষ্টা করাও অবৈধ। যদি তিনি এমন চেষ্টা করে থাকেন, তা বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
/এডব্লিউ
Leave a reply