Site icon Jamuna Television

পরিবারে মোট ভোট ৬, পেলেন ৩, সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা প্রার্থীর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিলেন মানিকুর রহমান। তার পরিবারে মোট ভোটের সংখ্যা ৬টি। এরমধ্যে মাত্র ৩টি ভোট পেয়েছেন তিনি। এতে নিজের পরিবারের প্রতিই ক্ষুব্ধ মানিকুর রহমান। সম্পর্ক ভাঙার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

মানিকুর রহমান নিজের ভোটসহ আর দু’জন ভোটারের ভোট পেয়েছেন। এদের মধ্যে একজন ভোটার তার মা ও অন্যজন তার স্ত্রী। এই নিয়ে পারিবারিক কলহ দেখা দিয়েছে ওই ইউপি সদস্য প্রার্থীর পরিবারে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাতজন প্রার্থী। এর মধ্যে একই বংশের চাচা-ভাতিজা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মানিকুর রহমানের চাচা আতিকুর রহমান তিনবারের মেম্বার। তিনি এবারের নির্বাচনে ঘুড়ি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একই পদে ভাতিজা মানিকুর রহমান আপেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চাচা-ভাতিজা দু’জনই পরাজিত হন। এ ওয়ার্ডে লক্কু মিয়া সিলিং ফ্যান প্রতীকে ৪৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আপেল প্রতীকে মানিকুর রহমান পেয়েছেন মাত্র তিন ভোট। এর মধ্যে এক কেন্দ্রে দুই ভোট ও আরেক কেন্দ্রে পান এক ভোট। তার চাচা আতিকুর রহমান ঘুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ২০৮ ভোট।

মানিকুরের এ ফলাফলে এলাকায় হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় তার পারিবারিক অশান্তি দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেম্বার প্রার্থী মানিকুর রহমানের পরিবারে মোট ভোটার ছয়জন। তারা হলেন মানিকুর নিজে, তার স্ত্রী, মা, বাবা ও দুই ভাই। তবে মানিকুর শুধু মা ও স্ত্রীর ভোট পেয়েছেন। বাবা ও ভাইদের ভোট পাননি। এছাড়া দুই ভোট কেন্দ্রে দেওয়া নিজের এজেন্টদের ভোটও পাননি। এনিয়ে নির্বাচনের পরদিন বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাগারাগি করেন মানিকুর।

তবে ফলাফলের পর ফোন বন্ধ রেখেছেন তিনি। এই ব্যাপারে বারবার ফোন করেও মানিকুর রহমানকে পাওয়া যায়নি।

এসজেড/

Exit mobile version