বগুড়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত ৪, বিব্রত প্রশাসন

|

বগুড়ার গাবতলীতে ভোট গণনা নিয়ে বিরোধের জেরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে চারজনের প্রাণহানির ঘটনায় বিব্রত স্থানীয় প্রশাসন। চার মরদেহ দাফনের আগে আয়োজিত শোকসভায় যোগ দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কারণেই এই প্রাণহানি।

বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেন, এমন একটি ঘটনার জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে খুবই দুঃখিত। এছাড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীও বলেন, এমন উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনের মধ্যে এ ধরনের ঘটনায় বিব্রত তিনিও।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কালাইহাটা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিহত ৪ গ্রামবাসীর জানাজা ও দাফনের আগে আয়োজিত শোকসভায় বুধবারের সহিংসতা নিয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছেন জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্তা। এতে সাময়িক সান্ত্বনা মিললেও, ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী এই ঘটনার জন্য দায়ী করছেন ভোটকেন্দ্রে কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে। তারা বলছেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশেই ছোড়া হয় গুলি।

বুধবারের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করেছে জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপার বলছেন, সংঘর্ষের সময় আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের নেয়া পদক্ষেপগুলোর যৌক্তিকতা যাচাই করবে কমিটি।

এদিকে, বুধবার গ্রামবাসী-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষের সময় ভোট কেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনায় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার অজ্ঞাত ৩শ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলায় ব্যালট পেপার ছিনতাই ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বুধবারের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা না করে উপজেলা সদরে ব্যালট পেপার নিতে চান নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নৌকা প্রতীকের কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। তাদের সঙ্গে যোগ দেন অন্যান্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরাও। পরে কয়েক হাজার নারী ও পুরুষ লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা চালায় পুলিশ, বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চার জনের।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply