শীতের মৌসুম চলছে। পরিবারে কারো না কারো ঠাণ্ডা লাগছেই। একইভাবে সমান তালে বাড়ছে ফ্লু ভাইরাসের সংখ্যাও। আর তার সঙ্গে আছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শঙ্কা। সব মিলিয়ে বোঝা দায়, কোনটা সাধারণ ঠান্ডা লাগা, কোনটা ফ্লু, কোনটা করোনার লক্ষণ।
চিকিৎসকরা বলছেন, কয়েকটি লক্ষণ বা উপসর্গের দিকে নজর দিতে। তাহলে নিজের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হতে পারে। এখানে প্রথমেই বলে রাখা দরকার, সাধারণ ঠান্ডা লাগা আর ওমিক্রনের উপসর্গের পার্থক্য খুবই সামান্য। তেমনই বলছেন চিকিৎসকরা। তাই একমাত্র করোনা পরীক্ষা করেই বোঝা সম্ভব আসলে সংক্রমণ হয়েছে কিনা।
সম্প্রতি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিখ্যাত চিকিৎসক এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ জিল ওয়েদারহেড বলেছেন, এই সময়ে নিজেকে এবং অন্যদের বাঁচানোর একটাই উপায়, যে কোনো ধরনের উপসর্গ দেখলেই বাকিদের থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সরিয়ে নেয়া। এবং করোনা পরীক্ষা করানো।
এখন পর্যন্ত ওমিক্রন সংক্রমণের হার বেশি থাকলেও, করোনার এই রূপটি খুব বেশি বাড়াবাড়ির আকার নেয়নি। ডেল্টার মতো ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির পরিমাণও কম। তবু বিশেষজ্ঞদের ভাবাচ্ছে অন্য দু’টি বিষয়।
এক, করোনা এবং ফ্লুয়ের জীবাণুর যৌথ আক্রমণ কতটা ভয়ের হয়ে উঠতে পারে?
দুই, ওমিক্রন সংক্রমণেও ‘লং কোভিড’-এর মতো সমস্যা হচ্ছে। সেই সমস্যা কতটা বাড়াবাড়ির অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে?
তবে কোন উপসর্গ দেখলে কতটা সাবধান হবেন, সে বিষয়ে একটা ধারণা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। দেখে নেয়া যাক সেটি।
মোটামুটি এই ভাবেই লক্ষণগুলি সাজিয়ে নিতে বলছেন চিকিৎসকরা। এটা দেখে কিছুটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে, কোন কোন লক্ষণ বেশি মাত্রায় দেখলে করোনা নিয়ে সচেতন হতে হবে এবং দ্রুত পরীক্ষা করাতে হবে।
Leave a reply