ব্যাংকে টাকা জমা করা যায়, গয়নাগাটি জমা করা যায়, দলিলপত্রও রাখা যায় লকারে। কিন্তু টাকার বদলে সময়ও যে জমা করা যায়, তা কে জানতো?
যে ব্যাংকে ঘণ্টা মিনিট গুনে গুনে সময় জমা করা যায়, আবার তুলেও নেয়া যায়, সেটিই টাইম ব্যাংক। বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তাহলে জানুন এই আজব ব্যাংকের কথা।
ছোটবেলায় যেসব প্রবাদ সবার কানের কাছে মন্ত্রের মতো আওড়ানো হয়, তার মধ্যে খুব চেনা একটা প্রবাদ হল, ‘মানি ইজ টাইম, টাইম ইজ মানি’। আর সেই কথাকেই পালন করছে একটি দেশের ব্যাংকের সেভিংস পলিসি। কিন্তু কোথায় রয়েছে সেই বিশেষ ব্যাংক?
আর্থিক নিরাপত্তার প্রসঙ্গে সবাই একবাক্যে যাকে সেরার শিরোপা দেন, সেটি সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরের সুইস ব্যাংক। লেনদেনের ব্যাপারে বহুদিন ধরেই বিশ্বসেরার তকমা পেয়ে আসছে এই দেশটি। আর এবার তারাই এগিয়ে গেল আরও এক ধাপ। সুইস মিনিস্ট্রি অফ হেলথ তৈরি করে ফেলেছে ‘টাইম ব্যাংক’ প্রকল্প, যেখানে আক্ষরিক অর্থেই সময় জমা রাখতে পারেন সে দেশের নাগরিকেরা। বস্তুত বৃদ্ধদের জন্য নির্দিষ্ট সরকারি পরিষেবারই অঙ্গ এই উদ্যোগ। যেসব বয়স্ক মানুষের নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সারার মতো শারীরিক সক্ষমতা অবশিষ্ট নেই, তাদের জন্য স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা করে এই পরিষেবা। আর এই স্বেচ্ছাসেবকেরা ওই বয়স্ক মানুষদের দেখভাল করার জন্য যত ঘণ্টা শ্রম দান করেন, সেই হিসেব নথিভুক্ত হয় ওই ব্যাংকে। যেখানে রয়েছে তাদের সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাকাউন্ট।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে যেসব শব্দের ব্যবহার নিষিদ্ধ!
নামকরণ থেকেই স্পষ্ট, সামাজিক নিরাপত্তা দেয়ার লক্ষ্যেই এই অ্যাকাউন্ট তৈরি। আর বাস্তবে তা ঠিক সেই কাজটিই করে। ওই স্বেচ্ছাসেবকদের বৃদ্ধ বয়সে একইভাবে পরিষেবা দিয়ে থাকে টাইম ব্যাংকে, পাশাপাশি সুদ হিসেবে মেলে আরও কিছু বাড়তি সহায়তা। তবে শুধুমাত্র বয়স্ক মানুষদের দেখাশোনা করা নয়, কনসালটেশন, বেবিসিটিং, পড়ানো, বাগানে কাজ করা, এমন বিভিন্ন উপায়েই সময় জমা করে ফেলা যায় এই বিশেষ ব্যাংকে।
Leave a reply