২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাবে বাংলাদেশ। উন্নয়নের এই অগ্রাযাত্রায় ভবিষ্যতেও দেশবাসী পাশে থাকবে। তবে, উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের এই অগ্রগতি অনেকেরই সহ্য হচ্ছে না বলে এক ভাষণে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের তৃতীয় বর্ষপূতি উপলক্ষে আজ শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দেশবাসীর উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভাষণের শুরুতেই উঠে আসে করোনা মহামারির বিষয়টি। নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে সংক্রমণ আবার উর্ধ্বমূখী হওয়ায় সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখনই সাবধান হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যারা টিকা নেননি তাদের দ্রুত টিকা নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এখন পুরোদমে কোভিড-১৯ টিকাকরণের কাজ চলছে। চলতি মাস থেকে গণটিকা প্রদানের মাধ্যমে প্রতি মাসে ১ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
ভাষণে জনগণকে দেয়া সরকারের সব ওয়াদা বাস্তবায়ন হয়েছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। ২০২২ সাল বাংলাদেশের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের বছর হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, জনগণের সরকার হিসেবে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বলেই মনে করি। গত ১৩ বছরে জনগণের জন্য কি কি করেছি তারাই তা মূল্যায়ন করবে। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি আমরা যেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সেটি পালন করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশে বসে বাংলাদেশ বিরোধী শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি নানা ষড়যন্ত্র করছে অগ্রযাত্রাকে রুখে দেয়ার জন্য। মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু কেউ যাতে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে তরুণ প্রজন্মই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলবে বলে ভাষণে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জেডআই/
Leave a reply