হিলি প্রতিনিধি:
হিলি স্থলবন্দরের বিরোধপূর্ণ ৬৯ শতাংশ জায়গা বন্দর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি দল বন্দর কর্তৃপক্ষকে জমিতে তাদের দখল বুঝিয়ে দেন। এ নিয়ে হিলি স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের মোট জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৫৫ একর।
বন্দর প্রতিষ্ঠার শুরুতে ১০ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ করা হলেও দিন-দিন বন্দরের অভ্যন্তরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০১৩ সালে আরও ১২ দশমিক ৫৫ একর জায়গা সরকারের পক্ষ থেকে অধিগ্রহণ করে বন্দর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
পরবর্তীতে রাস্তা সংলগ্ন ৬৯ শতাংশ জায়গার মালিক জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলার শুনানী শেষে অধিগ্রহণকৃত ৬৯ শতাংশ জায়গা বন্দর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া জেলা প্রশাসন।
পানামা হিলি পোর্টের উপদেষ্টা ড. আলমগীর হোসেন জানান, ২০০৭ সালে হিলি স্থলবন্দরের কার্যক্রম বেসরকারী অপারেটরের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। দিন দিন বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে। আমদানি-রফতানি কাজে ব্যবহৃত ট্রাকের সংখ্যা দিন-দিন বেড়ে যাওয়ায় বন্দরের অভ্যন্তরে জায়গার সংকুলান হচ্ছিলোনা। এ কারণে সরকারের পক্ষ থেকে বন্দর সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, একই গেট দিয়ে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করে এবং পণ্য খালাস করে বন্দর থেকে বেরিয়ে যায়। যে কারণে বন্দরের অভ্যন্তরে যানজটের সৃষ্টি হয়। সড়কের পাশে ৬৯ শতাংশ যে নতুন জায়গা সরকারের পক্ষ থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে সেখানে একটি অস্থায়ী গেট নির্মাণ করা হয়েছে, আর স্থায়ী গেট নির্মান কাজ চলছে। ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক গুলো পণ্য খালাস করে ওই গেট দিয়ে বের করে দেয়া হচ্ছে। এতে বন্দরের যানজট অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করেন পানামা হিলি পোর্ট কর্তৃপক্ষ।
/এসএইচ
Leave a reply