ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতেও চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। প্রথম দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ১ উইকেটে ৩৪৯ রান। দু’দফা নতুন বল হাতে নিয়েও সফল হতে পারেননি মঙ্গানুই টেস্ট জয়ের নায়ক তিন পেসার- এবাদত, তাসকিন ও শরিফুল। দিনশেষে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম ১৮৬ রানে ও ডেভন কনওয়ে ৯৯ রানে অপরাজিত আছেন।
এদিন মাউন্ট মঙ্গানুই জয়ের একাদশে ২ পরিবর্তনের আঘাত সয়েই টস করতে এসেছিলেন মুমিনুল। চোটের কারণে ছিটকে যাওয়া মাহমুদুল হাসান জয়ের পরিবর্তে শততম টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয় নাঈম শেখের। আর গ্রোয়েন ইনজুরিতে পড়া মুশফিকুর রহিমের জায়গা নেন নুরুল হাসান সোহান। ১৬ বছর পর পঞ্চপাণ্ডব-মাশরাফী, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব ও তামিমের প্রত্যেককে ছাড়াই প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ।
টেস্টের ৯ম ওভারের দ্বিতীয় ও পঞ্চম বলে স্বাগতিক অধিনায়ক টম ল্যাথামকে এবাদত হোসেনের বলে দু’বার আউট দেন আম্পায়ার। কিন্তু দু’বারই রিভিউ নিয়ে জীবন ফিরে পান এই ওপেনার। এরপর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন এই কিউই। ফিফটি তুলে নেন ল্যাথাম ও ইয়াং দু’জনই। দলীয় স্কোর যখন ১৪৮, তখনই ইয়াংকে নাঈমের তালুবন্দি করে ফেরান শরিফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন আতঙ্ক; বিপিএল নিয়ে সিদ্ধান্ত জানালো বিসিবি
মঙ্গানুই জয়ে তিন পেসার মিলে তুলেছিলেন ১৩ উইকেট। সেই তিনের ক্রাইস্টচার্চে সারাদিনের অর্জন ঐ একটিই। উইকেটের বাড়তি বাউন্স ও সুইং দু’টির কোনোটিই পকেটে পুরতে পারেনি বাংলাদেশ; আর তাই শেষ বিকেলে নতুন বল হাতে নেয়াটাও বৃথাই গেছে।
তবে ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি তুলে নেন ল্যাথাম, যা বাংলাদেশের বিপক্ষে তার তৃতীয়। তিনি ১৮৬ রানে ও ডেভন কনওয়ে অপরাজিত আছেন ৯৯ রানে। দু’জনে মিলে ২০১ রানের জুটি গড়েছেন। একজনের সামনে ডাবল আর আরেকজনের সামনে সেঞ্চুরির হাতছানি; আর বাংলাদেশের সামনে রান পাহাড়ে চাপে পড়ার শঙ্কা!
Leave a reply