ইতিহাস গড়া হলো না রহমতগঞ্জের। ফাইনালে তাদের ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয় করেছে আবাহনী লিমিটেড। মৌসুমের ২য় আর আসরের ১২তম শিরোপা জিতে মাঠ ছাড়ে আকাশী-নীলরা।
ম্যাচের ১২ মিনিটে আবাহনীর গোলরক্ষক সামনে এগিয়ে আসলে সুযোগ নেন সানডে চিজবো। অবশ্য তার দূরপাল্লার শট পোস্টে থাকলে এগিয়ে যেতে পারতো রহমতগঞ্জ। মিনিট দুয়েক পর আবার সুযোগ পায় পুরানো ঢাকার ক্লাবটি। এবার সানডের থ্রু থেকে ফিলিপ আজাহ বক্সে ঢুকে পড়লেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। ওয়ান টু ওয়ানে দারুণ সেভ করেন আবাহনী গোলরক্ষকের। ২৯ মিনিটে ম্যাচে এগিয়ে যাবার সুযোগ হারায় আবাহনী। বাদশার দূরপাল্লার শট জুয়েল রানা হেড করে ফাঁকায় দাঁড়ানো জীবনের কাছে গেলে তিনি মারেন পোস্টের উপর দিয়ে। ৪৪ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রাকিবের শট কোনোভাবে ফেরান রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক। ৪৫ মিনিটে সানডের আরও একটি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে হতাশ হতে হয় রহমতগঞ্জকে।
তবে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে কাজের কাজটি করেন কলিনড্রেস। রাকিবের সাথে বোঝাপড়ায় এবার ডেডলক ভাঙেন তিনি। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আবাহনী।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে মড়িয়া হয়ে ওঠে আকাশী নীলরা। ৫১ মিনিটে কলিনড্রেসের শট যায় পোস্টের উপর দিয়ে। মিনিট দুয়েক পর রাকিব বল জালে জড়ালেও তা বাতিল হয় অফ সাইডে। ৬৪ মিনিটে নুরুল নাইম ফয়সালের শট রহমতগঞ্জের গোলরক্ষকের হাত ফস্কে বেরিয়ে আসলে সুযোগটি কাজে লাগাতে ভুল করেননি রাকিব। দলকে এনে দেন ২-০ লিড।
৭০ মিনিটে রহমতগঞ্জকে গোল এনে দেন ফিলিপ। একক চেষ্টায় বক্সে ঢুকে আবাহনী গোলরক্ষককে বোকা বানাতে কোনো কষ্টই হয়নি তার। শেষ দিকে ধানমন্ডির জায়ান্টদের উপর চাপ দিয়েও আর গোল আদায় করে নিতে পারেনি রহমতগঞ্জ। মৌসুমের ২য় আর আসরের ১২তম শিরোপা জিতে মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
Leave a reply