চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষকে প্রকাশ্যে মারধর করেছে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি। চাঁদা না পেয়ে অধ্যক্ষকে হত্যার হুমকিও দিয়ে আসছে তার অনুসারীরা। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষার নামে এমন আচরণে ক্ষুব্ধ সবাই।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষকে মারতে মারতে তার অফিস কক্ষে নিয়ে যান নুরুল আজিম রনি। পুলিশের উপস্থিতিতে সেখানেও কলেজটির প্রধানের উপর হামলে পড়ে রনির অনুসারীরা। করে গালি গালাজ।
চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি হলে সেখানেও জাহেদ খানকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় রনির অনুসারীরা। এরপর থেকে মৃত্যু ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন জাহেদ খান। বলেন, আমাকে মারধর করার জন্য মেডিকেলেও ছেলে পাঠিয়েছে রনি। আমি মেডিকেল ছেড়ে চলে আসি।
অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ তুলে, কয়েক বছর ধরেই জাহেদ খানের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছে রনি। চাঁদা না দেয়ায়, শনিবার তাকে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়।
জাহেদ খান বলেন, সব কথা বলা যাচ্ছে না। আমি প্রাণভয়ে আছি। সবাই আমাকে বলছে ও আমার পিছু ছাড়বে না, বড় ধরনের ক্ষতি করে ফেলবে।
পুলিশের সামনে মারধরের কথা অস্বীকার করছেন কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি কাজী মোস্তাইন হোসেন বলেন, পুলিশ যাওয়ার আগে যদি ধাক্কা দিয়ে থাকে তো তিনি বলুক যে আমাকে মারছে, মামলা নেন। তিনি এমন কিছু বলেননি।
তবে মারধরের কথা স্বীকার করেছে রনি। দিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের স্বার্থরক্ষার অজুহাত। বলেন, আমি যদি ‘হুদাহুদাই’ তাকে মেরে থাকি তবে কারাগারে যেতে প্রস্তুত আছি।
একজন অধ্যক্ষকে এভাবে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকেই।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, যদি কোনো অনিয়ম থাকে তার জন্য আইন আছে। এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার কোনো সুযোগ আছে বলে মনে করি না।
মারধরেই ক্ষান্ত হননি রনি। নগরীর চকবাজার থানায় প্রতারণার একটি মামলাও করেছেন, যে অভিযোগ পুরো অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ জাহেদ খান।
এ নিয়ে যমুনা টেলিভিশনের প্রতিবেদন দেখুন:
https://www.facebook.com/JamunaTelevision/videos/1642912259137962/
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply