ইখতিয়ার মাহমুদ:
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে টেকনাফ-উখিয়ার পাহাড়ি বনাঞ্চল থেকে জরুরি ভিত্তিতে অন্যত্র স্থানান্তর না করলে ব্যাপক পরিবেশগত দুর্যোগ ও আর্থ-সামাজিক ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হবে বলে সম্প্রতি ‘এএনএসও চায়নার’ সাথে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের যৌথ গবেষণা রিপোর্টে উঠে এসেছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ ও ‘এএনএসও চায়নার’ যৌথ গবেষণা রিপোর্ট ‘উখিয়া-টেকনাফ এলাকার রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে বসবাস সংশ্লিষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ দুর্যোগ ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷ সম্মেলনে গবেষণা রিপোর্ট উপস্থাপন করেন জাবি ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.টি.এম. শাখাওয়াত হোসেন। মূল বক্তব্যে ড. শাখাওয়াত বলেন, মায়ানমারে জাতিগত দাঙ্গায় বাস্তচ্যুত ১০ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজার জেলার উখিয়া-টেকনাফ অঞ্চলে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে। কয়েক বছর ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শরণার্থী গোষ্ঠিকে আশ্রয় দিতে গিয়ে বাংলাদেশকে বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। কুতুপালং ও বালুখালী ক্যাম্পসহ আশেপাশের পাহাড়ি অঞ্চলের পরিবেশ, প্রতিবেশ ও বনাঞ্চল হুমকির সম্মুখীন। পাহাড়ের ঢালের ভূমি কেটে অস্থায়ী আশ্রয় তৈরি করায় বর্ষাকালে ভূমিধ্বসের মত মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। যা এ অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন ও প্রাণপ্রকৃতির জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরী করছে।
যৌথ গবেষণায় প্রফেসর ড.এ.টি.এম. শাখাওয়াত হোসেন, প্রফেসর মো. এমদাদুল হক, ড. হোসাইন মো. সায়েম, ড. মো. হাসান ইমাম, এ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর মাহমুদা খাতুন এবং গবেষণায় যুক্ত ৬ জন শিক্ষার্থী সংযুক্ত ছিলেন।
গবেষকবৃন্দ এলাকার টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশগত দুর্যোগ ও ইকো ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে রোহিঙ্গাদের অবিলম্বে মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর ওপর জোর দেন। এ গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে আগামী ১৫ জানুয়ারি মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে এ প্রবন্ধ উপস্থাপন করার পরিকল্পনা জানান তারা৷
/এডব্লিউ
Leave a reply