পিরোজপুর প্রতিনিধি:
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে নাদিম খান (২৫) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে এক হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত নাদিম খানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাসুদ শেখ নামে আরও জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।
কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ খানের অনুসারী নাদিম খান। ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ শিহাব হোসেনের লোকজন এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ। আহত যুবলীগ কর্মী নাদিম খান সদর উপজেলার তেজদাসকাঠী এলাকার নজরুল ইসলাম খানের পুত্র ও মাসুদ শেখ উত্তর কদমতলা এলাকার আব্দুর রহিম শেখের পুত্র।
আহত মাসুদ শেখ জানান, বুধবার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ছিল। সেই সভায় ইউনিয়ন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খানের নেতৃত্বে যোগদান করি। এতে ক্ষিপ্ত হয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিহাব হোসেন ও তার লোকজন। সকালে রাস্তা থেকে শিহাবের লোকজন তাকে ও নাদিমকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খান জানান, ইউপি চেয়ারম্যান শিহাব ও তার ভাইয়ের নেতৃত্বে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালিয়ে নাদিমের হাত কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। নাদিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ২০/৩০ টি কোপ দেয়া হয়েছে।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আরিফ হাসান জানান, দুইজনকে কুপিয়ে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। যার মধ্যে ১ জনের হাত বিচ্ছিন্ন থাকায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। আহত নাদিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের গভীর ক্ষত রয়েছে।
এ বিষয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শিহাব হোসেন জানান, এ হামলার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না, তবে শুনেছেন।
পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ.জা.মো. মাসুদুজ্জামান জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ইউনিয়নের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। এ বিরোধের কারণে হামলা ঘটনা ঘটেছে।
ইউএইচ/
Leave a reply