যৌন হয়রানির অভিযোগে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সামরিক ও রাজকীয় পদমর্যাদা বাতিল করেছেন রানী এলিজাবেথ।
এর ফলে, এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত তিনি ভাইস এডমিরাল এবং প্রিন্স পদবী ব্যবহার করতে পারবেন না। ব্রিটিশ রাজপরিবারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সাধারণ নাগরিক হিসেবে তিনি ওই মামলার মুখোমুখি হবেন। চলতি বছরের শেষ নাগাদ নিউইয়র্কের আদালতে মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
ভার্জিনিয়া জিওফ্রে নামের ওই নারী গত আগস্টে অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার অভিযোগ, দুই দশকেরও বেশি সময় আগে প্রিন্স অ্যান্ড্রু তাকে যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করেছিলেন। তার বয়স তখন ১৭ বছর ছিল। সে সময় তিনি লন্ডনে এপস্টাইনের সাবেক সহযোগী গিসলাইন ম্যাক্সওয়েলের বাড়িতে ছিলেন। জিওফ্রে বলেছেন যে, প্রিন্স অ্যান্ড্রু এপস্টাইনের দু’টি বাড়িতেও তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে প্রিন্স অ্যান্ড্রু বন্ধু এপস্টাইনের সাথে ভার্জিনিয়া রবার্টসের (বর্তমানে ভার্জিনিয়া জিওফ্রে নামে পরিচিত) একটি বন্দোবস্ত চুক্তি হয়। অর্থের বিনিময়ে করা ওই চুক্তির মাধ্যমে ‘অন্য যেকোনো ব্যক্তি বা সত্ত্বার’ জন্য জিওফ্রের সকল অভিযোগ থেকে তাদের দায় মুক্তি প্রদান করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ রানী এলিজাবেথ এবং প্রিন্স ফিলিপ দম্পতির তৃতীয় সন্তান প্রিন্স অ্যান্ড্রু। ফকল্যান্ড যুদ্ধসহ বেশকয়েকটি যুদ্ধে তিনি ব্রিটেনের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন। ২০১৯-এ নারী পাচারের দায়ে অভিযুক্ত এপস্টাইনের সাথে মেলামেশার কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ডিউক অব ইয়র্ক প্রিন্স অ্যান্ড্রু। তখন অনেক রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে দিতে তিনি বাধ্য হয়েছিলেন।
সূত্র: বিবিসি।
Leave a reply