ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নিঁখুত ফিনিশিংয়ে য়্যুভেন্টাসকে তাদেরই ঘরের মাঠে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের পথে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। কোয়ার্টার ফাইনালে য়্যুভেন্টাসকে ৩-০ গোলে হারিয়েছ গ্যালাকটিকোরা।
কার্ডিফে সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে য়্যুভেন্টাসের বিপক্ষে যে একাদশ সাজিয়েছিল রিয়াদ মাদ্রিদ ঠিক একই ফুটবলারদের উপর আস্থা রাখেন কোচ জিনেদিন জিদান। য়্যুভেন্টাসের মাঠ অ্যালিয়ান্জ স্টেডিয়ামে ম্যাচের তিন মিনিটেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ম্যাজিক। ইসকো মাসেলোর দারুন বোঝাপড়ায় বাড়ানো পাস থেকে সিআর সেভেনের গোল করলে শুরুতেই লিড নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। যার ফলে প্রথম ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা ১০ ম্যাচে গোল করার কীর্তি গড়লেন পর্তুগীজ অধিনায়ক।
লিড নিয়ে রক্ষনাত্বক হয়ে পড়ে জিদান শীষ্যরা। সেই সুযোগে একের পর এক আক্রমন করতে থাকে স্বাগতিকরা। কিন্তু হিগুয়েন দিবালের আক্রমনগুলো ফাটল ধরাতে পারেনি গ্যালাকটিকোদের রক্ষনে।
দ্বিতীয়ার্ধে কৌশল বদলে আবারো আক্রমনাত্বক হয় রিয়াল মাদ্রিদ। ফলও আসে দ্রুত। ৬৪ মিনিটে অনবদ্য এক বাইসাইকেল কিকে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ভিডিও গেমসের মত দৃষ্ট নন্দন গোলে মুগ্ধ হয়ে পুরো ম্যাচে সিআর সেভেনকে দুয়ো দেয়া জুভে সমর্থকরাও রোনালদো স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন পুরো স্টেডিয়াম।
৬৬ মিনিটে দিবালা দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় য়্যুভেন্টাস। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৭২ মিনিটে মার্সেলো আরও একবার স্বাগতিকদের জালে বল জড়ালে ৩-০র লিড পায় রিয়াল।
ব্যবধান আরও বড় হতে পারতে তবে কোভাসিচ, রোনালদোরা একাধিক সুযোগ নষ্ট করায় ওই স্কোর লাইনে শেষ হয় ম্যাচ।
রিয়ালের জয়ের রাতে হেরেছে আরেক স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়া। যদিও বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষ ঘরের মাঠে ৩১ মিনিটে পাবলো সারাবিয়ার গোলে লিড নেয় সেভিয়া। কিন্তু ৩৭ মিনিটে রিবেরির শট ঠেকাতে গিয়ে হেসুস নাভাস আত্মঘাতি গোল করলে সমতায় ফেরে বায়ার্ন মিউনিখ। সেভিয়া লিড পেতে মরিয়া হয়ে উঠলেও ৬৮ মিনিটে বায়ার্নের জয় নিশ্চিত করেন থিয়াগো আলকান্ত্রা।
Leave a reply