নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ‘ব্যক্তিগত গোপনীয়তা’ রক্ষায় ভোটকেন্দ্রের ভেতরের সব ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচনে দায়িত্ব পাওয়া প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা এরইমধ্যে নিজ নিজ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা নিস্ক্রিয় করেছেন। কিন্তু বিয়ষটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার।
নাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার জানিয়েছেন, প্রতিটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হওয়ায় ক্যামেরা চালু থাকলে ভোটাররা কাকে ভোট দিচ্ছেন, নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দেখা যেতে পারে। এ কারণে কমিশন এমন উদ্যোগ নিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যেক কক্ষেই আছে সিসি ক্যামেরা। এই কক্ষগুলোই রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে হয়ে যাবে ভোটকেন্দ্র। এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জানালেন, ভোটের দিন যেন সিসি ক্যামেরা চালু না থাকে, সেটি নিশ্চিত করছেন তিনি।
উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার চাইছেন নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চালু থাকুক।
এদিকে রাত পোহালেই নাসিকের ভোটের লড়াই শুরু হবে। পাঁচ লাখের বেশি ভোটারের ওই শহরে চায়ের আড্ডা থেকে বাজার, সবখানেই আলোচনা রোববারের ভোট নিয়ে। তাদের প্রত্যাশা একটা ভালো নির্বাচন। উল্লেখ্য, এই সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে ২০১১ সালে প্রায় ৭০ শতাংশ এবং ৬২ শতাংশ ভোট পড়ে ২০১৬ এর নির্বাচনে।
/এমএন
Leave a reply