‘সেক্স টয়’ কিনতে গিয়ে প্রতারণার ফাঁদে অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুল শিক্ষক। বিদেশ থেকে ওই বিশেষ ধরনের পুতুল আনানোর জন্য তার থেকে দফায় দফায় প্রায় ৪২ লাখ টাকা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের জলপাইগুড়ি।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একটি ড্যান্স বারের মালিককে গ্রেফতার করেছে।
রাজগঞ্জ থানার অন্তর্গত বেলাকপবা এলাকার বাসিন্দা ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। পুলিশ জানায়, ২০২০ সালে শিলিগুড়ির হংকং মার্কেটের একটি দোকানে একটি সেক্স টয় কিনতে গিয়েছিলেন তিনি। দোকানদার তাকে জানান, পুতুলটি বিদেশ থেকে আনাতে হবে। আর সেই জন্য তাকে অগ্রিম এক লক্ষ টাকাও দিতে হবে। তিনি রাজিও হয়ে যান।
এরপরই শুরু হয় প্রতারণার ফাঁদ পাতার কাজ। শিক্ষককে জানানো হয়, পুতুলটি তার বাড়িতে পৌঁছে দিতে যাওয়ার সময় ডেলিভারি বয়কে ধরে ফেলে পুলিশ। জেরার মুখে পুলিশের কাছে তার (শিক্ষকের) নামও বলে ফেলেছেন ওই ব্যক্তি। এইভাবেই দফায় দফায় প্রায় ৪২ লাখ টাকা আদায় করা হয় তার কাছ থেকে। টাকা দিতে দিতে তাকে জমি পর্যন্ত বিক্রি করতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষক। এরপর বাধ্য হয়েই রাজগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
ঘটনায় জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, একটি বিশেষ ধরনের পুতুল কিনতে গিয়ে এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক প্রতারকদের ফাঁদে পড়ে ৪২ লাখ টাকা খুইয়েছেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পবন দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যদিও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন পবন দাস। তিনি বলেন, আমি কিছুই জানি না। এই ঘটনায় আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।
ইউএইচ/
Leave a reply