অদক্ষতা ও শুধুমাত্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করায় চাঁদপুরে ১০টি সমবায় সমিতি এখন দেউলিয়া। মাঠে অনেক টাকা বিনিয়োগ রেখেই আত্মগোপনে চলে গেছে সমিতি পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্টরা। যদিও মাঠে পড়ে থাকা বেশিরভাগ অর্থই সাধারণ গ্রাহকের। মূলত সমিতিতে নিজস্ব মূলধন না রেখে অন্যের টাকাতেই ব্যবসা করার উদ্দেশ্য ছিল তাদের।
কয়েক বছর আগে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গ্রাহকের ৬৬ কোটি টাকা নিয়ে স্বদেশ, ইকরা, মেঘনাসহ উধাও হয়ে যায় ১০টি সমবায় সমিতি। সদস্যরাও আর ফেরত পায়নি গচ্ছিত টাকা। জেলায় আরও হাজার খানেক সমিতির অবস্থাও শোচনীয়। এমন পরিস্থিতিতে আমানত ফেরত পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় হাজারও মানুষ।
সমবায়ীরা বলছেন, পরিবারভিত্তিক সদস্য নিয়ে যে সকল সমিতি গঠন হয়েছে, সেগুলোরই খারাপ অবস্থা। এছাড়া যারা গ্রাহকের টাকার তারল্য না রেখে স্থায়ী সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করেছে, তারাই টিকে থাকতে পারছে না শেষ পর্যন্ত।
তবে অদক্ষতা কাটিয়ে উঠতে বাস্তবভিত্তিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানালেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা। চাঁদপুরে প্রায় ২ হাজার সমবায় সমিতির মাঠ পর্যায়ে বিনিয়োগ আছে কয়েকশত কোটি টাকা।
এসজেড/
Leave a reply