শিমু হত্যা মামলায় স্বামী ও গাড়িচালক ৩ দিনের রিমান্ডে

|

চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও গাড়িচালক এস এম ফরহাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় দায়ের করা শিমু হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের বিরুদ্ধে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক চুন্নু মিয়া। শুনানি শেষে ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরও পড়ুন: শিমুকে হত্যার পর রাতভর লাশ পাহারা দেন স্বামী (ভিডিও)

এর আগে মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নোবেল ও তার গাড়িচালকের বিরুদ্ধে মামলা করেন শিমুর ভাই হারুনুর রশীদ। মামলায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। পরে তার স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেল ও গাড়িচালক ফরহাদকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। এ সময় তাদের কাছ থেকে শিমুর স্বামীর ব্যবহৃত (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৬৭৪) রক্তমাখা একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক জানান, নোবেল ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার কমলাপুর গ্রামের খন্দকার আলিমুজ্জামানের ছেলে। শিমু পিরোজপুর জেলার সদর থানার সি আই পাড়ার নুরুল ইসলামের মেয়ে।

পুলিশ, র‍্যাব ও নিহতের আত্মীয়রা জানান, স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় থাকতেন শিমু। রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় শিমুর বোন মনিশা একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন সোমবার (১৭ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন জানান, শিমুর লাশ রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (মিটফোর্ড) মর্গে রাখা হয়েছে। শিমুর বোন মনিশা জানান, ১৯৯৮ সালে ‘বর্তমান’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক অভিনেত্রী শিমুর। এরপর প্রায় ২৫টির মতো চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি। অভিনয় করেছেন শাকিব খান ও অমিত হাসানসহ বেশ কিছু তারকার সঙ্গে। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি কয়েকটি টিভি নাটকে অভিনয় ও প্রযোজনা করেছেন শিমু।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply