গাজীপুর প্রতিনিধি:
মাদকসহ আটক করা হয় অমিত হাসান নামের এক ব্যক্তিকে। পরবর্তীতে পুলিশের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা দিলে অমিতকে ছেড়ে দেয়া হবে এমন আশ্বাস দেয়া হয় বলে অভিযোগ অমিতের স্ত্রী বৃষ্টির। তবে বৃষ্টি বলছে, পুলিশ কথা রাখেননি। ১৬ হাজার টাকা নিয়েও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় আরিচপুর বউ বাজার এলাকা থেকে অমিত হাসানকে আটক করা হয়। অমিত টঙ্গীর দক্ষিণ আরিচপুর এলাকার কাজী ভিলায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত মমিনুল ইসলাম গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক।
অমিতের স্ত্রী বৃষ্টি অভিযোগ করেন, অমিতকে আটকের পরপরই টঙ্গী পূর্ব থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে যোগাযোগ করে ২০ হাজার টাকা নিয়ে বউ বাজার রেলগেইট এলাকায় দেখা করতে বলেন। পরে টঙ্গী বাজার এলাকায় একটি জুয়েলারির দোকানে স্বর্ণালঙ্কার বন্ধক রেখে ১৬ হাজার ৭০০ টাকা নিয়ে এএসআই মমিনুলের হাতে তুলে দেই।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, টাকা বুঝে পাওয়ার পর মমিনুল জানায়, মধুমিতা রেলগেইট এলাকায় গিয়ে তোমার স্বামীকে ছেড়ে দিবো; তুমি বাসায় চলে যাও। কিন্তু আমার স্বামীকে না ছেড়ে থানায় নিয়ে যান তিনি। পরে এএসআই মমিনুল জানায়, তোমার স্বামীকে ছাড়া যাবে না। তাকে ৫০০ পিচ ইয়াবার মামলায় চালান দেয়া হবে। এ কথা শুনে টাকা ফেরত চাইলে এএসআই মমিনুল আমাকেও শরীরে করে মাদক পাচারের অভিযোগ এনে মামলা দিয়ে চালান করার হুমকি দেয়। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে ৮ হাজার টাকা ফেরত দেয়। বাকি টাকা দিয়ে মাল (ইয়াবা) কিনে মামলা দিবে বলে জানায় মমিনুল। আটকের সময় অমিতের কাছে ৮ পিছ ইয়াবা পাওয়ার কথা জানালেও বুধবার দুপুরে ৫২ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠিয়েছে। বাকি ইয়াবাগুলো আসলো কোথা থেকে?
আরও পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর সাথে ২৫ বছরের যুবকের বিয়ে, কাজী গ্রেফতার
আসামিকে ছেড়ে দেয়ার প্রসঙ্গে অভিযুক্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একজন মাদক মামলার আসামিকে ছেড়ে দেয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে তার স্ত্রীকে টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ বলেন, আমি বিষয়টা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। যদি সে এমন কিছু বলে থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
Leave a reply