পুরো ক্যাম্পজুড়ে কাদামাখা পিচ্ছিল পথ। এই পথ মাড়িয়েই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে দেখেন ২০ দেশের রাষ্ট্রদূতসহ ২৩ দেশের কূটনীতিকরা।
ক্যম্পের প্রতিটি রাস্তার পাশেই রোহিঙ্গাদের দুর্ভোগের চিত্র ফুটে উঠে কূটনীতিকদের চোখে। রাষ্ট্রীয় সহিংসতার শিকার মানুষগুলোর কথা শোনেন তারা। ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে অসহায় ও নিঃস্ব মানুষকে আশ্রয় দেয়ার পদক্ষেপের প্রশংসা করেন কূটনীতিকরা।
কূটনীতিকদের বিশাল বহরে ক্যাম্প পরিদর্শনকে গুরুত্বের সাথে দেখছে বাংলাদেশ। সংকট মোকাবেলায় ঢাকার সাথে থাকা সব দেশ জোরালো ভূমিকা রাখবে বলে আশা সরকারের।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, কূটনীতিকদের এই সফরকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি।
কুতুপালং পরিদর্শন শেষে সীমান্ত এলাকায় থাকা রোহিঙ্গাদের জীবনধারা দেখতে রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা যান সীমান্ত এলাকায়ও। রোহিঙ্গা ইস্যুতে কক্সবাজারেই বৈঠক করার কথা রয়েছে তাদের। পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যায়ই ঢাকায় ফিরবেন কূটনীতিকরা।
এদিকে রোহিঙ্গা নিপীড়ন ইস্যুতে আজ বৈঠকে বসছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। যদিও এ ইস্যুতে সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদ যথেষ্ট আন্তরিক নয় বলে অভিযোগ তুলেছে দুই মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দুই সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা বলেন, রোহিঙ্গাদের দুর্ভোগ আমলে নিচ্ছে না জাতিসংঘ। সঠিক কোন পদক্ষেপ নিতে না পারায় জাতিসংঘের কড়া সমালোচনা করে সংস্থা দু’টি।
কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সুচিরও সমালোচনা করেন তারা। রাখাইনে সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রাণ গেছে এক হাজারের বেশি মানুষের। নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা।
/কিউএস
Leave a reply