সালমান খান, কয়েদি নম্বর ১০৬; রাতের খাবার না খেয়েই যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ঘুমিয়ে পড়লেন। রাতের খাবার হিসেবে তাকে ডাল-রুটি খেতে দেওয়া হয়েছিল।
১৯৯৮ সালে রাজস্থানের কৃষ্ণহরিণ হত্যার দায়ে তাকে পাঁচ বছরের জেল দিয়েছে আদালত। অপর জেলে পাঠানোর আগে তাকে আরও একটি রাত যোধপুর কারাগারেই থাকতে হবে। কেননা আজ জামিনের শুনানিতে আদালত এই মামলার নথি চেয়ে পাঠিয়েছে বিচারিক আদালতে।
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ৫২ বছর বয়সী এই অভিনেতাকে রাতের খাবার হিসেবে ডাল-রুটি ও সবজি খেতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা না খেয়ে ফেরত পাঠিয়েছেন। বাইরের খাবার খাওয়ারও অনুমতিও তিনি পাননি। অগত্যা কারাগারে প্রথম রাতে অভুক্ত পেটে ঘুমিয়ে পড়তে হয়েছে বলিউড ‘ভাইজান’-কে।
সকালেও নাস্তা হিসেবে তাকে দেওয়া হয়েছিল খিচুড়ি ও চা; কিন্তু তিনি তাও না খেয়ে ফেরত পাঠিয়েছেন।
এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী হিসেবে থাকছেন এই বলিউড সুপার স্টার। এর আগে ১৯৯৮, ২০০৬, এবং ২০০৭ সালে মোট ১৮ দিন জেল খেটে ছিলেন।
জেল সুপার বিক্রম সিং বলেন, “সালমান খান বিশেষ কোনো সুবিধা পাবেন না।”
তিনি আরও বলেন, “তার পক্ষে একটি কাঠের বিছানা, কম্বল ও একটি কুলার রয়েছে। রাতে তাকে জেলের স্বাভাবিক খাবার ডাল-রুটি, এবং সকালে খিচুড়ি খেতে দেওয়া হয়েছে “
কারাগারের দুই নম্বর ব্যারাকে রাখা হয়েছে সালমান খানকে। কারাবাসে তার প্রতিবেশী হিসেবে রয়েছে গডম্যান আসারাম। ১৫ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের সাজা হিসেবে আসারাম ২০১৩ সাল থেকে জেল খাটছে।
যমুনা অনলাইন: এফএইচ
Leave a reply