শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
জমি লিখে না দেয়া মা ফুলজান বানুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ছেলে হাবিবুর সিকদার।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে শরীয়তপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সামছুল আলমের আদালতে নিজের মাকে হত্যা করার সত্যতা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় আসামি হাবিবুর সিকদার। জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান স্বীকারোক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জাজিরা থানার উপ-পরিদর্শক ইকরাম হোসেন জানান, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পাচু মাদবরকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর সিকদারের স্ত্রী ফুলজান বানুর ৫ ছেলে ও ৩ মেয়ে। জমিজমার বণ্টন নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ২০২১ সালে ২৫ নভেম্বর রাতে সেলিম সিকদার ও হাবিবুর সিকদার তাদের নামে জমি লিখে দেয়ার জন্য চাপ দিলে তাদের মা ফুলজান বানু তাতে অস্বীকৃতি জানান। ক্ষোভে দুই ভাই মায়ের গলা
টিপে ধরে। এতেই শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যান ফুলজান বানু। এরপর নিজেদের বাঁচাতে বাড়ির একটি আম গাছের সাথে মায়ের মৃতদেহ রশি দিয়ে ঝুলিয়ে মায়ের আত্মহত্যার নাটক সাজায় দুই ভাই।
পরের দিন ২৬ নভেম্বর পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর হাসপাতালে পাঠায় এবং জাজিরা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে।
এরপর, বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) ফুলজান বানুর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিশের কাছে পৌঁছায়। ময়নাতদন্তে হত্যার আলামত থাকায় পুলিশ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করে।
এদিকে, শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে জাজিরা উপজেলার কাজিরহাট এলাকা থেকে সন্দেহভাজন আসামি হাবিবুর সিকদারকে গ্রেফতার করে। পরে আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এরপর, ১৬৪ ধারায় হাবিবুরের দেয়া ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। আর পলাতক আসামি সেলিম সিকদারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন জাজিরা থানার উপ-পরিদর্শক ইকরাম হোসেন।
/এসএইচ
Leave a reply