ব্যাংকারদের ন্যূনতম বেতন নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথমবারের মতো নেয়া এমন সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন বেশিরভাগ চাকরিপ্রার্থী। তবে বেসরকারি ব্যাংকগুলো বলছে, হঠাৎ করে চাপিয়ে দেয়া এমন সিদ্ধান্ত মানা বেশ কঠিন। বাস্তবায়ন হলে ব্যাংকিং খাতে তৈরি হবে বিশৃঙ্খলা। অদক্ষদের চাকরিচ্যুত করা যাবে না এমন নিয়মও গ্রহণযোগ্য নয়।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) ছুটির দিন সকালে অনুষ্ঠিত হয়, রাষ্ট্রায়ত্ত ৮ ব্যাংকের চাকরির পরীক্ষা। দূর দূরান্ত থেকে পরীক্ষায় অংশ নিতে রাজধানীতে আসেন হাজার হাজার প্রার্থী। ঠাকুরগাঁও থেকে অফিসার পদে পরীক্ষায় অংশ নিতে রাজধানীতে এসেছেন ফাহিদ হাসান। ২০২০ সালে শেষ করেছেন স্নাতকোত্তর। ব্যাংকারদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোকে সাধুবাদ জানান এই শিক্ষার্থী।
কারণে-অকারণে চাকরিচ্যুত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তকেও ইতিবাচক বলেন অনেক চাকরিপ্রার্থী।
গত বৃহস্পতিবার এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করে দিয়েছে ব্যাংকারদের ন্যূনতম বেতন। যেখানে অফিস সহায়কদের সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ হয় ২৪ হাজার টাকা। তবে ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর বলছেন, কারো মতামত না নিয়ে এমন সিদ্ধান্তে অস্থিরতার মুখে পড়বে ব্যাংক খাত। এমন সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক এককভাবে নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলছেন, ব্যাংকগুলোর সক্ষমতা যাচাই না করেই নতুন বেতন কাঠামো চাপিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের বেশি বেতন হলে, পুরানোদের বেতনও সমন্বয় করতে হবে। যা ব্যাংকের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে দুর্বল করবে।
অদক্ষতার অজুহাতে বা লক্ষ্যপূরণ না করলে কোনো ব্যাংকারকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না। এমন সিদ্ধান্তও পালন করা বেশ কঠিন। এবিবির সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল আমিন বলছেন, চাকরিচ্যুত করা যাবে না, আবার বেতনও বেশি দিতে হবে, এই নিয়মটা কড়াকড়ি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ব্যাংকিং খাতে কর্মীর সংখ্যা ১ লাখ ৯০ হাজার। এর মধ্যে নারী ২৯ হাজার।
/এডব্লিউ
Leave a reply