যুদ্ধ বাণিজ্যে না জড়াতে গুগলের প্রতি কর্মীদের চিঠি

|

যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক প্রকল্পে কাজ না করতে হাজার হাজার গুগল কর্মী নিজ প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর খোলা চিঠি লিখেছে।

বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ড্রোন ব্যবহার করে আরও নিঁখুতভাবে হামলা চালাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক মাভেন প্রকল্পে গুগলের কাজ করার কথা।

কর্মীদের ভয় এতে জড়ালে গুগলের ব্র্যান্ড নামের ‘অপূরণীয়’ ক্ষতি হয়ে যাবে। প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই বরাবর চিঠিতে লিখা হয়েছে, “আমরা বিশ্বাস করি গুগলের বাণিজ্য যুদ্ধে জড়ানো উচিত নয়।”

“এ জন্য মাভেন প্রকল্প বাতিলের দাবি জানাচ্ছি, এবং গুগলের নীতিমালায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, গুগল ও এর চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান কখনই যুদ্ধ সংশ্লিষ্ট কোনো প্রযুদ্ধি তৈরি করবে না।”

নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ডজন ডজন জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলীসহ প্রায় ৩ হাজার ১০০ জন কর্মী ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন, এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তাদের মতামত জানিয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানটির ৮৮ হাজারেরও বেশি কর্মী রয়েছে।

এ বিষয়ে গুগল ক্লাউড ব্যবসার প্রধান ডায়ান গ্রিন কর্মীদের আশ্বস্ত করে জানান, প্রযুক্তিটি (মাভেন প্রকল্পের) কোনো ধরনের অস্ত্র ছোঁড়া, অথবা ড্রোন ওড়ানো ও নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হবে না।

কিন্তু কর্মীরা মনে করছে, গুগল ব্যবহারকারীদের বিশ্বাসকে ঝুঁকিতে ফেলার পাশাপাশি ‘নীতি ও নৈতিক দায়িত্বকে’ অবহেলা করছে।

চিঠিতে বলা হয়, “আমাদের প্রযুক্তির নৈতিক দায়িত্বকে আমরা তৃতীয়পক্ষের হাতে তুলে দিতে পারি না।”

এতে আরও বলা হয়েছে “গুগলের নীতিতে স্পষ্টভাবে বলা আছে: প্রত্যেক ব্যবহারকারী আমাদের ব্শ্বিাস করছে। কখনও সেটার ক্ষতিগ্রস্থ করো না। কখনও না।”

“যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে সামরিক তদারিকে সাহায্য করতে তৈরি করা এই প্রযুক্তির প্রাণঘাতি ফলাফল বয়ে আনার সম্ভাবনা রয়েছে, এবং এটি গ্রহণযোগ্য নয়।”

গুগলের একজন মুখপাত্র বিবিসি-কে বলেন, “প্রতিরক্ষা বিভাগের বহুল প্রচারিত একটি  প্রকল্প মাভেন। গুগল এর সঙ্গে কাজ করছে, বিশেষত সামরিক আক্রমন সংক্রান্ত বিষয়ে নয়। এ প্রকল্পে গুগল ক্লাউড কাস্টমারে পাওয়া যায়, এমন ওপেন সোর্স অবজেক্ট রিকগনিশন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে।” প্রকল্পটিতে আন-ক্লাসিফাইড ডাটা ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগল।

যমুনা অনলাইন: এফএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply