আজ ২২ জানুয়ারি ছিল জীবনকে উদযাপনের দিন। আর্থিক সমৃদ্ধি ও ক্যারিয়ারের পিছু ছুটতে গিয়ে নিজেকে সময় দিতে ভুলে যাননি তো?
পার্থিব উন্নয়নের পিছু ছুটতে ছুটতে আমরা নিজেকেই ভুলে যাই। অবিরাম ছুটে চলতে চলতে কখন যন্ত্র হয়ে যাই টের পাই না। গন্তব্যহীন এই চলার পথে একসময় আবিষ্কার করি, অনেক দূরে পৌঁছে গেছি কিন্তু আশেপাশে কেউ নেই। আপনজন বলতে কেউ আর অবশিষ্ট থাকে না।
জীবনের এই পর্বে এসে যা হারিয়ে গেছে তা ফেরত পাওয়ার সুযোগ নেই বলে আক্ষেপ ছাড়া কিছুই করার থাকে না। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরবর্তী প্রজন্ম। মা-বাবার ব্যস্ততার যাঁতাকলে পরে সন্তান বড় হয় অন্যের কাছে। শিশুরাও জীবনকে ভালবাসতে শেখে না।
১৯৭৩ সালের গর্ভপাতবিরোধী এক ঐতিহাসিক মামলার রায়কে স্মরণীয় করে রাখতে এর ঠিক ১১ বছর পর ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান দিনটিকে একটি দিবস ঘোষণা করেন। মানবজীবনের পবিত্রতাসংক্রান্ত সেই দিবসই পরবর্তীকালে জীবন উদযাপন দিবস বা সেলিব্রেশন অব লাইফ ডে হিসেবে পালিত হচ্ছে।
ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে একটু থামুন। অন্তত আজকের পুরোটা দিন নিজেকে নিয়ে ভাবুন। পরিবারকে সময় দিন। সজনদের খোঁজ নিন। তাদের সঙ্গে সময় কাটান। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। শিশুদের বাইরে খেলতে নিয়ে যান। আর এইসবের মধ্যেই নিজেকে খুঁজে পাবেন। গতি পাবেন সামনে চলার পথে। টের পাবেন, আপনি যে বেঁচে আছেন। বছরে একদিন নয়, প্রতিটি মুহূর্ত বাঁচুন জীবনকে উপলব্ধির মধ্য দিয়ে।
আরও পড়ুন-পুরুষের আয়ু কমে বিচ্ছেদে: গবেষণা
এনবি/
Leave a reply