স্বামী ধর্ষণ করছে এক নারীকে। স্ত্রী ক্যামেরাবন্দি করছে সেই দৃশ্য। তারপর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোডের হুমকি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে ভুক্তভোগীকে। শুনতে কোনো সিনেমার ঘটনা মনে হলেও বাস্তবেই ঘটেছে এমন ঘটনা।
ঘটনাটি ভারতের মুম্বাই শহরের। সেখানেই থাকতেন সৈয়দ ইউসুফ জামাল ও তার স্ত্রী নাজ সৈয়দক। মুম্বাইয়ের বাইকালা (পূর্ব) থানা এলাকার ড. বাবা সাহেব আম্বেদকর রোডে তাদের বাড়ি। এ দম্পতির ২০১৫ সালে মুম্বাইয়ের একটি পার্টিতে পরিচয় হয় এক নারীর সঙ্গে। তিনি থাকতেন মুম্বাইয়ের নাগপাড়ায়। তারপর ফোনে কথোপকথন। একদিন স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে দেয়ার নাম করে মহিলাকে তার বাড়িতে ডাকে। সেখানে মাদক মেশানো শরবত খাইয়ে দেয়া হয়। তিনি অবচেতন হয়ে পড়লে করা হয় ধর্ষণ। সেই ধর্ষণের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে তার স্ত্রী। মহিলার জ্ঞান ফিরলে তাকে সেই ভিডিও দেখানো হয়। হুমকি দেয়া হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করে দেয়ার।
এভাবে ব্ল্যাকমেইল করে মহিলার থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়েছে ওই দম্পতি। এখানেই শেষ নয়, মোটা অংকের টাকা হাতিয়েও থেমে থাকেনি। এরপর মহিলার কিশোরী মেয়ের দিকেও নজর পড়ে তাদের। মেয়েকে দিয়ে খারাপ কাজ করানোর চেষ্টা করে। তখন আর চুপ থাকেননি মহিলা। সরাসরি মুম্বাই পুলিশের দ্বারস্থ হন। এরপরই মুম্বাই থেকে পালিয়ে কলকাতায় চলে আসে অভিযুক্ত দম্পতি। কলকাতার নিউমার্কেটের কাছে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতো তারা। টাকার টান পড়লে অন্যান্য নম্বর থেকে ফোন করে আত্মীয়দের। সেই ফোনের সূত্র ধরেই কলকাতা পুলিশের সাহায্যে দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
টানা ছয় বছর ধরে ব্ল্যাকমেইল করে মহিলার থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছিল তারা। ভুক্তভোগীর অভিযোগ তারা ব্ল্যাক ম্যাজিকও করত। ধর্ষণ, যৌনতা, ব্ল্যাক ম্যাজিক, প্রতারণা, ভয় দেখানো, ব্ল্যাকমেইলের মতো অভিযোগ দায়ের হয়েছে অভিযুক্ত দম্পতির বিরুদ্ধে। শনিবার (২২ জানুয়ারি) তাদের ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়। বিচারক তাদের মুম্বাই নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।
সূত্র: জি নিউজ
Leave a reply