মধ্যবিত্তের জীবনে এখন আর পকেটের হিসাব মেলে না শুভঙ্কর মণ্ডলের। চড়া দামের কারণে গরু-খাসি মাংসের স্বাদ শিকেয় উঠেছে আগেই। এখন বিপত্তি মুরগি কিনতে গিয়েও। জানা গেলো, ১১০ টাকার ব্রয়লারের দর বাড়তে বাড়তে এখন ১৬০ টাকা। আর ডিমের প্রতি পিসের দাম বেড়েছে গড়ে আড়াই টাকা করে।
রাজধানীর বাজারে নতুন হতাশার নাম মুরগি। সরবরাহ সংকট, রোদ, বৃষ্টি, শীত এমন নানা কারণে বাজার চড়া থাকে হরহামেশা। ফিড আর ওষুধের দাম নিয়ে বিতর্ক তো আছেই। ফলাফল, নাগালে নেই ব্রয়লার। সোনালির কেজি ২৬০ টাকা। সাড়ে ৪শ টাকা গুনতে হবে দেশি মুরগির জন্য। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এখন সিন্ডিকেট চলছে ঢাকার কাপ্তানবাজারে। আর খামারে দর নিয়ন্ত্রণ করছে বড় বেনিয়ারা।
বিপদ ডিম কিনতে গেলেও। মুরগির সাদা-লাল এবং হাঁসের ডিমের প্রতি পিসের দাম বেড়েছে গড়ে আড়াই টাকা। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ নেমেছে অর্ধেকে। তাই প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে এখন ডিম কেনার জো নেই নিম্ন ও মধ্যবিত্তের।
পাইকারি আড়তেও যুক্তির শেষ নেই। এখানে সরবরাহ স্বাভাবিক। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের বাড়তি চাহিদার তুলনায় মুরগি ও ডিমের উৎপাদন কম। তার ওপর খাবারের দাম বেড়েছে বস্তায় অন্তত ৫শ টাকা। খামারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে মজুদেরও।
খামারিদের যুক্তি, পোল্ট্রি ফিডের রফতানি নিয়ন্ত্রণ করলে দেশীয় বাজার স্বাভাবিক থাকবে।
/এডব্লিউ
Leave a reply