স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর:
রংপুর মহানগরীর কোতোয়ালি থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে রুহি আকতার (১৯) নামে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছ। পরে, কঠোর গোপনীয়তায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অপরাধে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) পাঁচ নারী কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাটিতে আকাশ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, ওই ভিকটিমকে নগরীর সিগারেট কোম্পানি এলাকা থেকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছিল। সেখানেই রোববার (২৩ জানুয়ারি) সকালে আত্মহত্যা করেন তিনি। রুহির বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু থানার হরিয়ার ঘাট গ্রামে। তাকে গ্রেফতারকৃত আকাশ ফুসলিয়ে রংপুরে এনে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানান, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রুহি রোববার সকালে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় আকাশ মিয়ার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে রুহির পিতা সেকেন্দার আলী সোমবার দুপুরে থানায় মামলা করেন।
প্রাথমিক তদন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি আরও জানান, আকাশের বাড়ি রংপুরের বাহারকাছনা রাম গোবিন্দমোড় এলাকায়। মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে রুহির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে তাকে রংপুরে আসতে বলেন আকাশ। গত শনিবার ঝিনাইদহ থেকে রংপুরে আসেন রুহি। এরপর আকাশের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল দিয়ে বন্ধ পান। রংপুর নগরীর সাহেবগঞ্জ এলাকায় রুহিকে ঘোরাফেরা করতে দেখে এলাকাবাসী ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়। এরপর হারাগাছ থানা পুলিশ রুহিকে উদ্ধার করে শনিবার রাতে কোতোয়ালি থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে যায়।
জেডআই/
Leave a reply