এক মাসের ব্যবধানে শূন্য থেকে করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ ছুঁই ছুঁই। এভাবেই বরিশালে করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে হু হু করে। তবে বাড়েনি হাসপাতালে বেডের সংখ্যা। ৩শর বেশি রোগী চিকিৎসা দিতে গেলে হিমশিম খেতে হবে শের-ই বাংলা মেডিকেল কর্তৃপক্ষকে। বরিশাল জেনারেল হাসপাতালকে ১০০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড করার কথা থাকলেও বাতিল হয়েছে সেই সিদ্ধান্তও।
জ্বর, কাশি, গলা ব্যাথাসহ কোভিডের নানা উপসর্গ নিয়ে শের-ই বাংলা মেডিকেলের ফ্লু কর্নারে ভিড় করছেন অনেকে। কেউ আবার কোভিড পজেটিভ রোগীর সংস্পর্শে যাওয়ায় করছেন নমুনা পরীক্ষা। প্রতিদিনই জ্যামিতিক হারে বরিশালে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। হাসপাতালটির পিসিআর ল্যাব প্রধান ডা. একেএম আকবর কবীর জানালেন, মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে শনাক্তের হার ৪০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। নমুনাও সংগ্রহ করা হচ্ছে ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, গেলো দুই বছর কোভিড চিকিৎসায় সমৃদ্ধ হয়েছে অভিজ্ঞতার ঝুলি। তবে হাসপাতালে তিনশর বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেয়া কষ্টসাধ্য বলে স্বীকার করলেন শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. এসএম মনিরুজ্জামান।
গত বছর বরিশাল জেনারেল হাসপাতালকে একশ বেডের করোনা ডেডিকেটেড ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর স্থাপন করা হয় অক্সিজেন প্লান্ট। তবে বরিশাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল জানালেন, সম্প্রতি নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় সেসব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।
সরকারী হিসাব অনুযায়ী, বিভাগে এখন পর্যন্ত কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ হাজার ১শ ৯ জন। সুস্থ হয়েছে ৪৪ হাজার ৭শ ৪৯ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৬৭৯ জনের।
/এডব্লিউ
Leave a reply