Site icon Jamuna Television

মেয়ে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বিউটির বাবা

নতুন মোড় নিয়েছে হবিগঞ্জের কিশোরী বিউটি আক্তার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত। প্রথমে মামলার প্রধান আসামি বাবুলকে সন্দেহভাজন খুনি বলে ধারণা করা হলেও পরে উঠে এলাকা সম্পর্কের চাচা ময়না মিয়ার নাম। সবশেষ জানা গেল, বাবা ছায়েদ আলীর উপস্থিতিতেই নাকি বিউটিকে হত্যা করেছে ময়না মিয়া ও এক ভাড়াটে খুনি। শনিবার বিকালে প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা।

নিজ কার্যালয়ে তিনি আরও জানান, পরিকল্পিতভাবেই কিশোরী বিউটির হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এর আগে দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় বাবা ছায়েদ আলী। এসময় বিউটির প্রতিবেশি আছমা আক্তারের বক্তব্যও রেকর্ড করেন আদালত। গতকাল এই হত্যা মামলায় জবানবন্দি দেয় বিউটির চাচা আওয়ামী লীগ নেতা ময়না মিয়া ও মূল অভিযুক্ত বাবুল। পাশাপাশি বিউটির নানী ফাতেমা বেগমের জবানবন্দিও রেকর্ড করেন আদালত।

গত ২১ জানুয়ারি নিখোঁজ হয় বিউটি। বাবুল মিয়াকে দায়ী করে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করে তার বাবা ছায়েদ আলী। ১৭ মার্চ লাখাইয়ের একটি হাওর থেকে উদ্ধার হয় বিউটির মরদেহ। এ ঘটনায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে সিলেট থেকে আসামি বাবুলকে গ্রেফতার করা হয়।

যমুনা অনলাইন: টিএফ

Exit mobile version