নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে করা আইনের খসড়ায় দুটি পরিবর্তনের সুপারিশসহ জাতীয় সংসদে রিপোর্ট উপস্থাপন করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সংসদ অধিবেশনে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ পরীক্ষা করে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। বিলটি সংসদে পাস করার সুপারিশও করেছেন স্থায়ী কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপনের পর তা পরীক্ষা করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল। সংসদে উত্থাপিত বিলে সিইসি ও কমিশনারদের যোগ্যতা সংক্রান্ত ধারায় বলা ছিলো, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার হতে গেলে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদে তার অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এই ধারায় কিছুটা সংশোধনী এনে সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদের পাশাপাশি ‘স্বায়ত্তশাসিত পদ বা পেশায়’ যুক্ত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
এ ছাড়া অযোগ্যতার ক্ষেত্রে ৬(ঘ) ধারাতেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ ধারায় বলা হয়েছিল, নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে সিইসি ও কমিশনার হওয়া যাবে না। এখানে দুই বছরের কারাদণ্ড উঠিয়ে শুধু ‘কারাদণ্ড’ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
Leave a reply